Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

বুদ্ধকে সরিয়ে রবিকে আনলেন শ্যাম

ভেঙে গেল শ্যাম-বুদ্ধর জুটি। দীর্ঘদিন ধরে বিষ্ণুপুরের পুরপ্রধানের পদে রয়েছেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। আর উপপুরপ্রধান হিসেবে ছিলেন বুদ্ধদেব মুখোপাধ্যায়। বুধবার সেই ছবিটাই বদলে গেল।

নতুন উপ পুরপ্রধানের সঙ্গে বিষ্ণুপুরের পুরপ্রধান।

নতুন উপ পুরপ্রধানের সঙ্গে বিষ্ণুপুরের পুরপ্রধান।

নিজস্ব সংবাদদাতা
বিষ্ণুপুর শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০১৬ ০২:৫৮
Share: Save:

ভেঙে গেল শ্যাম-বুদ্ধর জুটি। দীর্ঘদিন ধরে বিষ্ণুপুরের পুরপ্রধানের পদে রয়েছেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। আর উপপুরপ্রধান হিসেবে ছিলেন বুদ্ধদেব মুখোপাধ্যায়। বুধবার সেই ছবিটাই বদলে গেল। বুদ্ধবাবুকে সরিয়ে বুধবার বিষ্ণুপুর পুরসভার নতুন উপপুরপ্রধান হলেন রবিলোচন দে। দুপুরে শ্যামবাবু দাবি করেন, ‘‘পুরপ্রধানের মনোনীত পদ উপপুরপ্রধান। তাই এই পদে কাউকে রাখা, না রাখা আমার এক্তিয়ার। দলবিরোধী কাজের জন্যই বুদ্ধবাবুকে সরিয়ে রবিলোচনবাবুকে ওই পদে আনা হল।’’

১৯৯৫ সাল থেকে একটানা পুরভোট জিতে আসছেন বুদ্ধবাবু। বরাবর তাঁকে শ্যামবাবুর ঘনিষ্ঠবৃত্তেই দেখা যেত। কিন্তু গত বিধানসভা ভোটের পর থেকে দু’জনের মধ্যে দূরত্ব নজরে আসে। বিষ্ণুপুর কেন্দ্রের তৃণমূল প্রার্থী শ্যামবাবুর বিধানসভা ভোটের প্রচারে বুদ্ধবাবুকে দেখা যায়নি। ফল প্রকাশের পরে দেখা যায়, শ্যামবাবু ভোটে হেরেছেন। শুধু তাই নয়। বিষ্ণুপুর শহরের বেশ কয়েকটি ওয়ার্ডে তাঁর ভরাডুবি হয়েছে। এর জন্য অনেকাংশে বুদ্ধবাবু ও তাঁর ঘনিষ্ঠদের দায়ী করেন শ্যামবাবুর সঙ্গীরা। যদিও সেই সব অভিযোগ বুদ্ধবাবু তখনও মানতে চাননি। এ দিনও নয়। বুধবার তিনি দাবি করেন, ‘‘আমাকে দলের প্রচারে ডাকাই হয়নি।’’

এ দিন দুপুরে দলীয় কাউন্সিলরদের সঙ্গে পুরভবনে বসেছিলেন শ্যামবাবু। সেখানেই তিনি সিদ্ধান্তের কথা জানান। তিনি দাবি করেছেন, ‘‘দলের রাজ্য নেতৃত্বের সঙ্গেও এ নিয়ে আগেই কথা বলেছিলাম। তাঁরা আমাকেই সিদ্ধান্ত নিতে বলেছিলেন।’’ নতুন উপপুরপ্রধান ঘোষণার পর বুদ্ধবাবু দাবি করেন, ‘‘আমাকে পদ থেকে সরানো হচ্ছে, অথচ আমিই জানতে পারলাম না। মিথ্যা অভিযোগে আমাকে সরানো হল। বিষয়টি জেলা ও রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েছি।’’ তৃণমূলের জেলা সভাপতি অরূপ খাঁকে ফোনে চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি। দলের বাঁকুড়া জেলা কোর কমিটির সদস্য তথা জেলা পরিষদের সভাধিপতি অরূপ চক্রবর্তী অবশ্য দাবি করেছেন, ‘‘এটা জেলা কমিটির সিদ্ধান্ত নয়। দলের পর্যবেক্ষক জেলায় আসছেন, তাঁর সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলব।’’

বিষ্ণুপুর মহকুমা প্রশাসনের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট (১) তাপসরঞ্জন মিত্র বলেন, ‘‘উপপুরপ্রধানের পদ দেওয়া নিয়ে আমাদের কিছু করণীয় নেই। কিন্তু পরিবর্তন যে হচ্ছে তা আগাম জানানো উচিত ছিল।’’

—নিজস্ব চিত্র

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Deputy Chairman
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE