ধৃতদের তোলা হচ্ছে আদালতে। নিজস্ব চিত্র
বগটুই-কাণ্ডে আরও তিন জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। রামপুরহাটের বড়শাল গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান ভাদু শেখ খুনে বুধবার এ রাজ্যের বিভিন্ন এলাকা থেকে তিন জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভাদু খুনের পর অভিযুক্তেরা এলাকা ছেড়ে চম্পট দিয়েছিল। ধৃতদের ১০ দিনের পুলিশ হেফাজত দিয়েছেন রামপুরহাট আদালতের বিচারক। ধৃত তিন জনের মধ্যে সঞ্জু এবং শেরার নাম রয়েছে এফআইআরে। রাজা নামে এক জনকে সন্দেহের বশে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
অন্য দিকে, নিহত ভাদুর বাড়িতে বুধবার সিবিআইয়ের একটি দল পৌঁছয়। ভাদুর প্রতিবেশীদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তদন্তকারীরা। পাশাপাশি নলহাটি থানার এক পুলিশ আধিকারিককে জিজ্ঞাসাবাদ করবে।
বুধবার মালদহ, ঝাড়গ্রাম এবং রামপুরহাট থেকে ওই তিন জনকে গ্রেফতার করেছে বীরভূম জেলা পুলিশ। ধৃতদের নাম শেরা শেখ, সঞ্জু শেখ এবং রাজা শেখ। গত ২১ মার্চ ভাদু খুনে তারা অভিযুক্ত। খুনের পর তারা গা ঢাকা দিয়েছিল বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। বুধবারই ধৃতদের রামপুরহাট আদালতে হাজির করানো হয়। তবে আদালতে প্রবেশের সময় ধৃতেরা সংবাদমাধ্যমের কাছে দাবি করে, তাদের ফাঁসানো হয়েছে। ধৃত সঞ্জুর এক আত্মীয় বলেন, ‘‘ও ওই কাণ্ডে অভিযুক্ত নয়। গত এক বছর থেকে ওরা এলাকায় নেই।’’
বুধবার সিবিআই আধিকারিকরা আবারও এক বার জিজ্ঞাসাবাদ করেন বগটুইয়ের বাসিন্দা মিহিলাল শেখকে। পাশাপাশি রামপুরহাট থানার এএসআই সত্যেন্দ্রনাথ সাহাকেও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করা হয়। বুধবার সাঁইথিয়ার বাতাসপুর থেকে বগটুইয়ের পার্শ্ববর্তী গ্রাম কুমারড্ডায় রওনা দিয়েছেন মিহিলাল। তাঁর কথায়, ‘‘বগটুই গ্রামে আপাতত কোনও আতঙ্ক নেই। কিন্তু ভবিষ্যতে কী হবে জানি না। আপাতত বগটুইয়ের পাশের গ্রাম কুমারড্ডায় আত্মীয়ের বাড়িতে থাকব। মেয়ে মারা গিয়েছে। ছেলে ইব্রাহিমকে মানুষ করতে চাই। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন। বাড়ি ঘরদোর ঠিক হলে তার পর বগটুইতে ফিরব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy