মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার জন্য রামপুরহাটে বহু-ফসলি জমির উপরে পাকা রাস্তা ও হেলিপ্যাড তৈরি হচ্ছে বলে সোমবারই অভিযোগ করেছে সিপিএম। মঙ্গলবার বোলপুরের সাংবাদিক বৈঠক থেকে তার জবাব দিলেন জেলা তৃণমূলের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রতর দাবি, ‘‘ও সব সংবাদমাধ্যমের একাংশের অপপ্রচার। ওটা চাষের জমি নয়, ফসলও হয় না। তা ছাড়া মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকের জন্য আমরা জমির মালিকের থেকে অনুমতি নিয়েই ব্যবহার করছি।’’ জেলা প্রশাসনও ফসল নষ্টের অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে জানিয়েছে।
মঙ্গলবারই রামপুরহাটে পৌঁছেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আজ, বুধবার সভা হওয়ার কথা। তার প্রস্তুতিও চূড়ান্ত। রামপুরহাটে সানঘাটা সেতু সংলগ্ন শ্রীকৃষ্ণপুর পাখুরিয়া মৌজায় প্রায় ৭০ বিঘা জমিতে সভাস্থলও তৈরি করা হয়েছে। সভাস্থল থেকে দেড়শো মিটার দূরে তৈরি হয়েছে হেলিপ্যাড।
সিপিএমের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য সঞ্জীব বর্মণের অভিযোগ ছিল, কৃষকদের আগাম কিছু না জানিয়ে সভাস্থল তৈরির জন্য ওই জমিতে ধানের বীজতলা নষ্ট করা হয়েছে। জমির আল যন্ত্র দিয়ে কেটে দেওয়া হয়েছে। জমির উপর কংক্রিটের রাস্তাও তৈরি করা হয়েছে। একই অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছেন বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীও।
এ দিনের সাংবাদিক বৈঠকে সে প্রসঙ্গে অনুব্রতর কটাক্ষ, ‘‘৩৪ বছর যারা উপকার করেনি, তাদের এমনই মানসিকতা হবে।’’ তা শুনে সিপিএম-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রামচন্দ্র ডোমের জবাব, ‘‘এটা কৃষকদেরই অভিযোগ। সিপিএম শুধু কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ করেছে মাত্র।’’ তাঁর প্রশ্ন, ‘‘অত কৃষকের ফসল নষ্ট হল, তার ক্ষতিপূরণ কে দেবে?’’
এ দিনের সাংবাদিক বৈঠকের বড় অংশ জুড়ে ছিল নদিয়ার কথা। সম্প্রতি নদিয়ায় দলীয় পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পেয়েছেন বীরভূম তৃণমূলের সভাপতি। সেই জেলায় কোন কৌশলে ভোট হবে, তা-ও জানিয়ে রেখেছেন অনুব্রত। তাঁর কথায়, ‘‘অনুব্রত তো একটাই মানুষ। নদিয়াতেও পাঁচন ম্যাজিকে ভোট হবে। দু’টি আসনে বিপুল ভোটে জিতব।’’ ইতিমধ্যেই নদিয়ায় সভা করেছেন। ২ ফেব্রুয়ারি তেহট্টে মিটিং করবেন। ৩ তারিখ সভা কৃষ্ণনগরে। সেখানে ৩ থেকে ৪ লক্ষ মানুষের জমায়েত হবে বলে অনুব্রতর দাবি।