হুড়ার লালপুর মহাত্মা গাঁধী কলেজের বাইরে ডিএসও-র বিক্ষোভ। ফাইল চিত্র
উত্তরপত্র ছিঁড়ে ফেলার ভিডিয়ো ‘ভাইরাল’ হওয়ায় সংশ্লিষ্ট ছাত্রী এ বার হুড়ার লালপুর মহাত্মা গাঁধী কলেজের তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে পুরুলিয়ার সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় লালপুর কলেজের বাংলা, ইংরেজি ও সংস্কৃত বিভাগের তিন শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীটি অভিযোগ দায়ের করেন বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
পুলিশের একটি সূত্র শুক্রবার জানিয়েছে, ছাত্রীটি অভিযোগের পক্ষে বিশেষ কিছু নথি দিতে পারেননি। তাই বিশদ তথ্য সংগ্রহের জন্য সাইবার ক্রাইম থানা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপের সদর দফতরে ই-মেল পাঠিয়েছে। এ দিন অবশ্য লালপুর কলেজের অধ্যক্ষ শান্তি কুণ্ডু ওই ছাত্রীর দায়ের করা অভিযোগ সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করতে চাননি। যোগাযোগ করা যায়নি ওই তিন শিক্ষকের সঙ্গেও।
পুরুলিয়ার কলেজগুলিতে এখন প্রথম ও তৃতীয় বর্ষের সেমিস্টারের পরীক্ষা চলছে। পুরুলিয়া শহরের একটি কলেজের ওই ছাত্রীর পরীক্ষার আসন পড়েছিল লালপুরের কলেজে। গত মঙ্গলবার পরীক্ষায় নকল করায় অভিযোগে তার উত্তরপত্র আটক করা হয়। পরে সংশ্লিষ্ট ছাত্রী পরীক্ষাকেন্দ্রের ভিতরে সেই উত্তরপত্র ছিঁড়ে ফেলছেন বলে একটি ভিডিয়ো (যার সত্যাসত্য যাচাই করেনি আনন্দবাজার) ‘সোশ্যাল মিডিয়া’য় ‘ভাইরাল’ হয়। তাতে হইচই পড়ে যায় পুরুলিয়ায়। নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করে।
বৃহস্পতিবার লালপুরের কলেজের অধ্যক্ষকে ডেকে সিধো-কানহো-বীরসা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঘটনায় যুক্তদের চিহ্নিত করা ও দ্রুত তদন্ত কমিটি গঠন করে রিপোর্ট জমা করতে নির্দেশ দেন। তদন্ত কমিট গঠন হয়েছে কি না তা নিয়ে মন্তব্য করতে চাননি লালপুর মহাত্মা গাঁধী কলেজের অধ্যক্ষ। তিনি বলেন, ‘‘এই বিষয়ে সংবাদমাধ্যমকে কিছু বলব না।”
অন্য দিকে, ওই ছাত্রীর সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘এগজ়াম রিলেটেড ডিসিপ্লিনারি কমিটি’ কথা বলবে বলে জানিয়েছেন পরীক্ষা নিয়ামক। সুবলবাবু বলেন, ‘‘পুরো বিষয়টির উপরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নজর রয়েছে। কমিটি ওই ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy