Advertisement
E-Paper

নিম্নমানের কাজের নালিশ, রাস্তার সংস্কার বন্ধ হুড়ায়

কাজের মান খারাপ, এই অভিযোগে রাস্তার মেরামতি বন্ধ করে দিলেন এলাকার বাসিন্দারা। ঘটনাটি পুরুলিয়ার হুড়া ব্লকের লালপুর-পুঞ্চা রাস্তায়। পুরুলিয়া-বাঁকুড়া ৬০-এ জাতীয় সড়কের লালপুর মোড় থেকে এই রাস্তাটি মানবাজার হয়ে বান্দোয়ানের দিকে গিয়েছে। রেল যোগাযোগ না থাকায় এই বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষজনের ভরসা সড়ক পরিবহণ। কিন্তু এই রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ মার্চ ২০১৫ ০০:৪৫
কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন বাসিন্দারা। —নিজস্ব চিত্র।

কাজ বন্ধ করে দিয়েছেন বাসিন্দারা। —নিজস্ব চিত্র।

কাজের মান খারাপ, এই অভিযোগে রাস্তার মেরামতি বন্ধ করে দিলেন এলাকার বাসিন্দারা। ঘটনাটি পুরুলিয়ার হুড়া ব্লকের লালপুর-পুঞ্চা রাস্তায়।

পুরুলিয়া-বাঁকুড়া ৬০-এ জাতীয় সড়কের লালপুর মোড় থেকে এই রাস্তাটি মানবাজার হয়ে বান্দোয়ানের দিকে গিয়েছে। রেল যোগাযোগ না থাকায় এই বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মানুষজনের ভরসা সড়ক পরিবহণ। কিন্তু এই রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল। কিছুদিন আগে ওই রাস্তা সংস্কারের কাজ হাত দেয় পূর্ত দফতর (সড়ক)। পূর্ত দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, লালপুর থেকে দশ কিলোমিটার এই রাস্তাটি সংস্কারের পাশাপাশি চওড়া করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বরাদ্দ হয় ৬ কোটি ৮৬ লক্ষ টাকা। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, রাস্তা চওড়া করার নামে দীর্ঘদিন ধরে খোঁড়াখুঁড়ি করা অবস্থায় রাস্তাটি পড়ে রয়েছে। কাজ শেষ হয়নি। বেশ কিছুদিন নানা কারণে এই রাস্তায় কাজ বন্ধ ছিল তা স্বীকার করেছেন পূর্ত দফতরের এক আধিকারিক। পূর্ত (সড়ক) বিভাগের এগ্জিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার প্রলয় চক্রবর্তী বলেন, “রাস্তাটি প্রথমে যে ভাবে করার পরিকল্পনা করা হয়েছিল, পরবর্তী কালে তাতে কিছু রদবদল ঘটানো হয়। সে কারণেই সংস্কারে কিছুটা দেরি হয়েছে। তবে, ফের কাজ শুরু হয়েছিল।”

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার সকালে হুড়া ব্লকের মাগুড়িয়া পঞ্চায়েত এলাকায় রাহেড়ডি গ্রামের কাছে ওই রাস্তার কাজ হচ্ছিল। সে সময় স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ তোলেন, যে ভাবে কাজ করা হচ্ছে, তাতে রাস্তা বেশিদিন টিঁকবে না। সংস্কারের পর পরেই ফের রাস্তা নষ্ট হয়ে গেলে ভুগতে হবে তাঁদেরই। মাগুড়িয়া পঞ্চায়েতের উপপ্রধান প্রসেনজিৎ পরামানিক বা এলাকার তৃণমূল নেতা তপন মাহাতো বলেন, “পিচের প্রলেপ দেবার পরে কিছু কিছু জায়গায় এখনই পাথর উঠে যাচ্ছে। এ ভাবে কাজ করার কথা নয়। আমরা চাই, ভালভাবে কাজ করা হোক। না হলে কাজ বন্ধ রাখা হোক। আগে আধিকারিকেরা দেখুন, মেরামতির কাজ ঠিকভাবে হচ্ছে কিনা।” স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পুরনো পিচ রাস্তা না কেটে বা তুলে না ফেলে তার উপরই নতুন করে পিচের প্রলেপ দেওয়া হচ্ছে।

বিক্ষোভের জেরে কাজ বন্ধ করে কাজের জায়গা থেকে সরঞ্জাম গুটিয়ে নিয়ে চলে যান ঠিকাদারের কর্মীরা। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার সুরজিৎ ঘোষের দাবি, “আমি বিধি মোতাবেকই কাজ করছি। আধিকারিকেরাই পরীক্ষা করে দেখুন।” প্রলয়বাবুও বলেন, “ওই রাস্তায় আগে যতটা বিটুমিনাসের (উপরের অংশের আলকাতরা ও পাথরকুচির প্রলেপ) প্রলেপ ছিল, এ বার তার চেয়ে বেশি করে দেওয়া হচ্ছিল। ভালভাবেই রাস্তাটি করা হচ্ছিল। স্থানীয় স্তরে অভিযোগ উঠেছে। তবে, আমরা কী ভাবে কাজ করছি, তা স্থানীয় পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি এবং বিডিওকে জানিয়েছি।” ওই এলাকারই বাসিন্দা তথা জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “স্থানীয় মানুষ কাজের মান নিয়ে আপত্তি করায় কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে বলে শুনেছি। কী ভাবে ভাল করে কাজ করা যায়, তা দফতরকে দেখতে বলা হয়েছে।”

substandard repairing substandard maintenance roads reform hura
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy