আর দু’দিনের মধ্যেই তৈরি হতে চলেছে ঘূর্ণাবর্ত। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, অষ্টমীর দিন উত্তর আন্দামান সাগরে একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নবমীর দিন তা আরও ঘনীভূত হয়ে নিম্নচাপ অঞ্চলে পরিণত হবে। ফলে নবমী থেকেই কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গের সব জেলায় শুরু হবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টি। কোথাও কোথাও ভারী বৃষ্টির আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।
তবু বৃষ্টির আশঙ্কাকে সঙ্গী করেই সকাল থেকে পুজোর আনন্দে শামিল হয়েছেন মানুষ। ষষ্ঠীতে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় বিক্ষিপ্ত ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। সঙ্গে ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়া বইবে। বিক্ষিপ্ত ভাবে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া এবং ঝাড়গ্রামে। সপ্তমী থেকে বৃষ্টি কিছুটা কমবে। ওই দিন দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর এবং ঝাড়গ্রামে বিক্ষিপ্ত ভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। অষ্টমীতে ঝড়বৃষ্টি হতে পারে উত্তর ২৪ পরগনা, দুই বর্ধমান, নদিয়া, মুর্শিদাবাদ এবং বীরভূমে।
নবমী থেকে দুর্যোগ বাড়বে। দশমী এবং একাদশীতে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনাও রয়েছে। দশমীর দিন ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনা, পূর্ব মেদিনীপুর, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং নদিয়ায়। বাকি জেলাগুলিতেও বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি চলবে। ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি (৭ থেকে ২০ সেন্টিমিটার) হতে পারে দক্ষিণ ২৪ পরগনায়।
ঝড়বৃষ্টি হবে উত্তরবঙ্গেও। ষষ্ঠীতে দক্ষিণ দিনাজপুরে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে। সপ্তমীতে বৃষ্টি হতে পারে দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি এবং কালিম্পঙের কিছু এলাকায়। এ ছাড়া, দশমী পর্যন্ত উত্তরবঙ্গের প্রায় সব জেলাতেই বিক্ষিপ্ত ভাবে ঝড়বৃষ্টি চলবে। একাদশী থেকে ভারী বৃষ্টি হতে পারে উত্তরের জেলাগুলিতে।