Advertisement
০১ মে ২০২৪
MLA Oath

রাজ্যপালের সঙ্গে সংঘাত, ধূপগুড়ির বিধায়কের শপথগ্রহণ আটকে রাজভবন-নবান্নের দ্বন্দ্বে

শনিবার রাজভবনের তরফে উপনির্বাচনে জয়ী নির্মলচন্দ্র রায়কে শপথবাক্য পাঠ করানোর জন্য প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হয়নি।

Raj Bhaban- Nabanna clashed over Dhupguri MLA\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\\'s oath

(বাঁ দিক থেকে) শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় , সি ভি আনন্দ বোস, নির্মলচন্দ্র রায়। — ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২০:০৭
Share: Save:

শেষ পর্যন্ত ধূপগুড়ির তৃণমূল বিধায়কের শপথগ্রহণ কবে হবে? তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন দেখা দিল। শনিবার উপনির্বাচনে জয়ী নির্মলচন্দ্র রায়কে শপথবাক্য পাঠ করানোর জন্য রাজভবনের তরফে প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান হয়নি। পরিষদীয় দফতরের অভিযোগ, রাজ্য সরকারকে এড়িয়ে গিয়ে একক ভাবে বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করানোর আয়োজন করেছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। কিন্তু পরিষদীয় দফতর সায় না দেওয়ায় সেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান করা সম্ভব হয়নি রাজভবনের তরফে। পরিষদীয় দফতরের আরও অভিযোগ, কোনও বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করাতে হলে পরিষদীয় দফতরের ফাইলে রাজভবনের অনুমোদন প্রয়োজন হয়। সেই ফাইল ফিরে এলে দফতরের তরফেই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

এ ক্ষেত্রে রাজ্যপাল কেবলমাত্র ঠিক করতে পারেন, কে বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করাবেন। কোনও ক্ষেত্রে রাজ্যপাল নিজে শপথবাক্য পাঠ করাতে পারেন। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই সেই দায়িত্ব দেওয়া হয় সংশ্লিষ্ট বিধানসভার স্পিকার বা ডেপুটি স্পিকারকে। উল্লেখ্য, জগদীপ ধনখড় বাংলার রাজ্যপাল থাকাকালীন উপনির্বাচনে জয়ের পর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিধানসভায় এসে নিজেই শপথবাক্য পাঠ করিয়েছিলেন। আবার বর্তমান রাজ্যপাল বাবুল সুপ্রিয়কে শপথবাক্য পাঠ করানোর দায়িত্ব দিয়েছিলেন ডেপুটি স্পিকার আশিস বন্দ্যোপাধ্যায়কে।

কিন্তু পরিষদীয় দফতরের অভিযোগ, রাজ্য সরকারকে এড়িয়ে গিয়ে নিজেই রাজভবনে বিধায়ককে শপথবাক্য পাঠ করাতে চেয়েছিলেন রাজ্যপাল। এ ক্ষেত্রে প্রক্রিয়াগত ত্রুটি থাকায় শপথবাক্য পাঠ করানো সম্ভব হয়নি। পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আবারও তিনি ধূপগুড়ির বিধায়কের শপথ অনুষ্ঠানের জন্য চিঠি পাঠাবেন রাজভবনে। অনুমোদন পেলে পরিষদীয় দফতরই শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করবে।

প্রথমে রাজ্যপাল রাজ্যের বাইরে থাকার কারণে নির্মলচন্দ্রের শপথগ্রহণ হয়নি। আর এ বার রাজভবন-নবান্নের মধ্যে সংঘাতের কারণে ঝুলে রইল ধূপগুড়ি বিধায়কের শপথ। পরিষদীয় দফতরের অভিযোগের জবাব জানতে রাজভবনে যোগাযোগ করা হলে উত্তর পাওয়া যায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE