বিশেষ ভাবে সক্ষম শিক্ষার্থীদের জন্য স্পেশাল এডুকেটর নিয়োগের বিধি প্রকাশ করল স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি)। তারা জানিয়েছে যে, স্পেশাল এডুকেটরদের শূন্য পদের সংখ্যা ১৯৪১টি। এর জন্য কবে টেট নেওয়া হবে, সেটাও খুব শীঘ্রই জানিয়ে দেওয়া হবে।
এসএসসি জানাচ্ছে, এর আগে কখনও স্পেশাল এডুকেটর হিসেবে শিক্ষক নিয়োগ তারা করেনি। রাজ্যের শিক্ষা নীতিতে বিশেষ ভাবে সক্ষম পড়ুয়াদের জন্য আলাদা স্কুল নয়, সাধারণ স্কুলেই তাদের পড়ানোর পরিকাঠামো তৈরি করার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু দেখা গিয়েছে, বিশেষ ভাবে সক্ষম পড়ুয়াদের পড়ানোর মতো পর্যাপ্ত শিক্ষক নেই সাধারণ স্কুলগুলিতে। তাই স্পেশাল এডুকেটরদের নিয়োগ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষা দফতরের এক কর্তা।
এ দিনের বিজ্ঞপ্তিতে এসএসসি জানিয়েছে, পরীক্ষার্থীরা কমিশনের ওয়েবসাইটে গিয়ে কেবল মাত্র অনলাইনে ফর্ম ভরতে পারবেন। অনলাইনে ফর্ম ভরা ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। ফর্ম পূরণ চলবে ২৪ সেপ্টেম্বর বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ২৪ সেপ্টেম্বর রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত ফর্ম ভরার টাকা জমা দেওয়া যাবে।
পঞ্চম থেকে দশম শ্রেণি এবং পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণির জন্য স্পেশাল এডুকেটর নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে। সাধারণ এবং ওবিসি প্রার্থীদের জন্য পরীক্ষার ফি ৫০০ টাকা। তফসিলি জাতি, তফসিলি জনজাতি এবং শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য পরীক্ষার ফি ২০০ টাকা। বয়সসীমা ২১ থেকে ৪০ বছর পর্যন্ত। রাজ্য সরকারের নিয়ম অনুযায়ী, তফসিলি জাতি, জনজাতি, ওবিসি এবং শারীরিক প্রতিবন্ধীদের বয়সের ঊর্ধ্বসীমায় ছাড় থাকবে।
এসএসসি জানিয়েছে, স্পেশাল এডুকেটর হওয়ার জন্য স্নাতক বা স্নাতকোত্তর পাশ আবেদনকারীকে স্পেশাল বিএড পাশ হতে হবে। ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর টিচার এডুকেশেনের (এনসিটিই) নিয়ম মেনে টেট নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে এসএসসি। টেট উত্তীর্ণদের ইন্টারভিউ ও ক্লাসে পড়ানোর দক্ষতা পরীক্ষার পরে মেধা তালিকা প্রকাশ হবে। প্রশ্ন হবে বাংলা এবং ইংরেজিতে। ওএমআর শিট দশ বছর সংরক্ষণ করে রাখা হবে। এসএসসি-র ওয়েবসাইটে গেলে সবিস্তার জানা যাবে।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)