ভুয়ো পাসপোর্ট কাণ্ডের তদন্তে নয়া মোড়! ওই ঘটনায় অন্যতম অভিযুক্ত বিরাটির বাসিন্দা আজ়াদ মল্লিকের ফোন থেকে মিলল ২০ হাজার গুরুত্বপূর্ণ নথি। এর আগে ইডি আদালতে দাবি করেছিল, ধৃত আজ়াদ আদতে পাকিস্তানের নাগরিক। এ বার সেই আজ়াদের মোবাইল থেকে প্রায় ২০ হাজার নথি, ছবি, মেল এবং অডিয়ো উদ্ধার করল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)।
ইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, আজ়াদের মোবাইল থেকে পাওয়া নথির মধ্যে বাংলাদেশের নাগরিকদেরও নথি রয়েছে। এ ছাড়া, অনলাইনে বেশ কিছু বিদেশি গ্রুপের সঙ্গেও যোগাযোগ ছিল আজ়াদের। তাঁর মোবাইল থেকে সেই সংক্রান্ত প্রমাণও মিলেছে। পাকিস্তানের সঙ্গেও আজ়াদের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল বলে মনে করা হচ্ছে। এ সবের পাশাপাশি, ধৃত আজ়াদের ফোন থেকে একাধিক অডিয়ো ক্লিপের কথোপকথন উদ্ধার হয়েছে। সেগুলি শুনে দেখছেন তদন্তকারীরা। মনে করা হচ্ছে, ওই অডিয়োগুলি থেকে কোনও গুরুত্বপূর্ণ সূত্র মিলতে পারে।
আরও পড়ুন:
ইডি সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, গ্রেফতারির কিছু দিন আগেই মোবাইল বদলেছিলেন আজ়াদ। তাঁর পুরনো ফোনটিও খুঁজছে ইডি। সেই ফোনের তথ্য উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। বৃহস্পতিবার ইডি হেফাজত থেকে আজ়াদকে বিচার ভবনে নিয়ে আসা হয়। আদালতে আজ়াদকে আরও পাঁচ দিন হেফাজতে রাখার আবেদন করেছে ইডি। ইডির দাবি, তদন্তে একাধিক বিষয় উঠে এসেছে। ফলে তদন্তের স্বার্থে আরও কিছু দিন তাঁকে হেফাজতে রাখা প্রয়োজন।
ভুয়ো পাসপোর্ট কাণ্ডে বিরাটি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছিল আজ়াদকে। প্রথমে মনে করা হয়েছিল, বিরাটি থেকে ধৃত আজ়াদ বাংলাদেশি। পরে ইডি জানায়, তিনি পাকিস্তানি। ১২-১৩ বছর আগে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশ হয়ে ভারতে প্রবেশ করেন। অভিযোগ, শুধু নিজের জন্য নয়, অন্য অনেকের জন্যই ভুয়ো নথি এবং পাসপোর্ট তৈরি করে দিতেন আজ়াদ। এ রকম ২৫০টিরও বেশি ভুয়ো নথি তিনি তৈরি করেছিলেন বলে তদন্তে জানতে পেরেছে কেন্দ্রীয় সংস্থা। ইতিমধ্যে আজ়াদের বিষয়ে খোঁজখবর শুরু করেছে এনআইএ-ও। ইডির কাছ থেকে ওই ব্যক্তির সম্পর্কে তথ্য চেয়ে পাঠিয়েছে তারা।