ফাইল চিত্র।
উপনির্বাচনে আসানসোলের রিটার্নিং অফিসারের (জেলাশাসক, পশ্চিম বর্ধমান) অপসারণের দাবি তুলল বিজেপি। আর তা নিয়ে তাদের পাল্টা আক্রমণ করল তৃণমূল কংগ্রেস।
আসানসোল লোকসভা আসনের উপনির্বাচন নিয়ে আগেই ভোটলুঠের আশঙ্কায় নির্বাচন কমিশনে দরবার করল বিজেপি। সোমবার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিজেপির একটি প্রতিনিধি দল কমিশনের তিন পর্যবেক্ষকের কাছে এ বিষয়ে অভিযোগ জানিয়ে পদক্ষেপ করার আর্জি জানায়। শুভেন্দু বলেন, “এই জেলাশাসক বাঁকুড়ায় একটি ভোটে বুথ লুটের ঘটনায় অভিযুক্ত। সম্প্রতি আসানসোলের একটি অভিজাত ক্লাবে রাজ্যের মন্ত্রীদের সঙ্গে গোপন বৈঠকও করেছেন। সে তথ্য কমিশনে জানিয়েছি। তাই এই পক্ষপাতদুষ্ট জেলাশাসককে রেখে আসানসোলে সুষ্ঠু ভাবে উপনির্বাচন করা সম্ভব নয়।” সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলাশাসকের প্রতিক্রিয়া মেলেনি।
তৃণমূল অবশ্য শুভেন্দুর এই অভিযোগে আমল দিতে চায়নি। রাজ্য দলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘আসলে প্রচার পর্বেই বিজেপি নেতারা বুঝে গিয়েছেন, মানুষ মুখ ঘুরিয়ে নিয়েছে। হারের ভয়ে আগে থেকেই এই প্রচার সেরে রাখছে বিজেপি।’’
পাশাপাশি, শুভেন্দুর অভিযোগ, “সিউড়ি, গঙ্গাজলঘাটি, বড়জোড়া, কাঁকসা থানার আইসি-রা আসানসোলে গুন্ডা পাঠানোর ব্যবস্থা করছেন। এ জন্য সাতটি
অ্যাম্বুল্যান্স কেনা হয়েছে। কয়েক হাজার টোটো ভাড়া করা হয়েছে। গুন্ডাদের চাপিয়ে গলি পথ ধরে তাঁদের আসানসোলে আনা হবে।” একইসঙ্গে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘এক পুলিশ অফিসারের তত্ত্বাবধানে কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনীর কমান্ডারদের নিয়ে বৈঠক ডাকা হয়েছে। তা নিয়ে আমাদের কোন আপত্তি নেই। কিন্তু সেখানে পর্যবেক্ষকদের রাখতে হবে।’’ শুভেন্দু অারও জানান,
অতি স্পর্শকাতর বুথগুলিতে দিল্লি থেকে নজরদারির চালানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে তাঁরা জানতে পেরেছেন।
জবাবে কুণাল বলেন, ‘‘ব্যক্তিগত ভাবে নিজের ব্যর্থতা আড়াল করতে শুভেন্দু এ সব আবন্তর কথা বলা শুরু করেছেন। যতদিন যাবে, নিশ্চিত পরাজয় স্পষ্ট ততই এইরকম অভিযোগ বাড়বে।’’
একইসঙ্গে তাঁর দাবি, আসানসোলের লোকসভা এবং বালিগঞ্জের বিধানসভা উপনির্বাচনে বিজেপিকে খঁজে পাওয়া যাবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy