পড়ুয়াদের আত্মহত্যার ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের প্রশ্নের মুখে পড়লেন আইআইটি খড়্গপুর কর্তৃপক্ষ। কেন পড়ুয়ারা আত্মহত্যা করছেন, কী সমস্যা রয়েছে আইআইটি খড়্গপুরে? তা নিয়ে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের। কর্তৃপক্ষ এ বিষয়টি ভেবে দেখেছেন কি না, তা-ও জানতে চান বিচারপতি জেবি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি আর মহাদেবনের বেঞ্চ।
সম্প্রতি আইআইটি খড়্গপুরে ঋতম মণ্ডল নামে এক পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। উত্তরপ্রদেশের নয়ডাতেও এক বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেল থেকে এক ছাত্রীর দেহ উদ্ধার হয়েছে। পর পর এই দু’টি ঘটনায় গত সপ্তাহেই স্বতঃপ্রণোদিত পদক্ষেপ করে সুপ্রিম কোর্ট। সোমবার মামলাটি শুনানির জন্য উঠলে দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানতে চায়, “আইআইটি খড়্গপুরে সমস্যা কোথায়? কেন পড়ুয়ারা আত্মহত্যা করছেন? আপনারা কি এটি ভেবে দেখেছেন?”
তখন আইআইটি খড়্গপুরের আইনজীবী জানান, এই বিষয়টি দেখার জন্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ১০ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিনি আরও বলেন, “একটি কাউন্সেলিং সেন্টারও রয়েছে। কোনও পড়ুয়ার মানসিক স্বাস্থ্য বিঘ্নিত হচ্ছে কি না, তার উপর নজর রাখছে ওই কাউন্সেলিং সেন্টার। পড়ুয়াদের একটি ফোন নম্বরও দেওয়া হয়েছে, তাঁরা যে কোনও সময় ওই নম্বরে ফোন করতে পারেন।”
আরও পড়ুন:
পড়ুয়াদের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে দুই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকেই বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছিল সুপ্রিম কোর্ট। দু’টি ঘটনার ক্ষেত্রেই এফআইআর রুজু হয়েছিল কি না এবং কর্তৃপক্ষ দ্রুততার সঙ্গে পুলিশকে বিষয়টি জানিয়েছিলেন কি না, এই সংক্রান্ত তথ্যও জানতে চেয়েছিল আদালত। সোমবারের শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে জানানো হয়, দু’টি ক্ষেত্রেই এফআইআর রুজু করা হয়েছে। আইনি খবর পরিবেশনকারী ওয়েবসাইট ‘বার অ্যান্ড বেঞ্চ’ অনুসারে, এই স্বতঃপ্রণোদিত মামলায় এখনই আর কোনও পর্যবেক্ষণ করতে চায়নি আদালত।
দুই বিচারপতির বেঞ্চ জানিয়েছে, নয়ডার বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় মৃতের বাবা এফআইআর রুজু করেছেন এবং তদন্ত চলছে। আইনানুগ ভাবে তদন্ত এগিয়ে চলুক। আইআইটি খড়্গপুরের ঘটনার ক্ষেত্রে, খবর পাওয়ার ৩০ মিনিটের মধ্যেই কর্তৃপক্ষ থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। এটি নিয়েও তদন্ত চলছে। তদন্ত সঠিক ভাবে চলুক। চার সপ্তাহ পরে এই মামলার পরবর্তী শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।