সিভি আনন্দ বোস। —ফাইল চিত্র।
দেবীপক্ষে অধিবেশন ডেকে মন্ত্রী এবং বিধায়কদের বেতন বিল পাশ করাতে চেয়েছিল রাজ্য সরকার। কিন্তু রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস সেই বিলে অনুমোদন না দেওয়ায় বিল অধিবেশনে পেশ করেও, তা স্থগিত করে দিতে হয়েছিল। কালীপুজোর আগেই ফের বসতে চলেছে বিধানসভার দু’দিনের বিশেষ অধিবেশন। সেই অধিবেশনেই মন্ত্রী এবং বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি সংক্রান্ত বিল-সহ একটি জিএসটি বিল পাশ হওয়ার কথা। আগামী ৭-৮ নভেম্বর হতে পারে বিধানসভার এই বিশেষ অধিবেশন।
বিধানসভার সচিবালয় সূত্রে খবর, মন্ত্রীদের বেতন বৃদ্ধি করতে ‘দ্য ওয়েস্ট বেঙ্গল স্যালারিজ় অ্যান্ড অ্যালাউন্স অ্যাক্ট ১৯৫২’ এবং বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধি করতে ‘বেঙ্গল লেজিসলেটিভ অ্যাসেম্বলি অ্যাক্ট ১৯৩৭’ সংশোধন করা হবে। এই বিল দু’টি পাশ হলেই ৪০ হাজার টাকা করে বর্ধিত বেতন পাবেন মন্ত্রী-বিধায়কেরা। প্রসঙ্গত, ৭ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মন্ত্রী এবং বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধির কথা ঘোষণা করেছিলেন বিধানসভাতেই।
বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত কার্যকর করতে গেলে আইনগত সম্মতির প্রয়োজন রয়েছে। তাই ১৬ অক্টোবর বিশেষ অধিবেশন ডেকে বিল দুটি পাশ করানোর চেষ্টা হয়েছিল। যদিও, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর অভিযোগ ছিল, রাজ্যপালের অনুমোদন ছাড়াই বিলটি পেশ করা হয়েছে। রাজ্যপালের অনুমোদন ছাড়া কোনও আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিল বিধানসভায় পেশ করা যায় না। তাই অধিবেশন ডেকেই এক প্রাক্তন বিধায়কের প্রয়াণের খবর জানিয়ে অধিবেশন শেষ করে দিয়েছিলেন স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে ১৭ অক্টোবর বিলে স্বাক্ষর করে দেন আনন্দ বোস। তাতেই বিধানসভায় বিলটি পাশ করানোর রাস্তা প্রশস্ত হয়ে গিয়েছে।
পুজোর ছুটি কাটিয়ে সোমবার থেকে স্বাভাবিক কাজকর্ম শুরু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সব দফতর। তার পর থেকেই বিধানসভায় বিশেষ অধিবেশন ডাকার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। তবে এই বিলগুলি নিয়ে আলোচনায় মুখ্যমন্ত্রী অংশ নেবেন কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে বিজেপির পরিষদীয় দল এই আলোচনায় অংশ নিয়ে মন্ত্রী-বিধায়কদের বেতন বৃদ্ধির সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নিজেদের প্রতিবাদ লিপিবদ্ধ করাতে অধিবেশনে অংশ নেবেন বলে জানা গিয়েছে। রাজ্য সরকার চাইছে বিধানসভায় বিলটি পাশ করিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণাকে বাস্তবায়িত করতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy