Advertisement
২৫ এপ্রিল ২০২৪
CBI

CBI & Education Department: টেট নিয়ে সংসদের কাছে ১০ দফা জবাব চাইল সিবিআই

সিবিআইয়ের হাতে তথ্য তুলে দিতে উদ্যোগী প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। ২০১৪ সালে টেট উত্তীর্ণ চাকরি প্রাপকদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ শুরু করল তাঁরা।

সিবিআই-কে তথ্য তুলে দিতে কাজ শুরু করে দিল প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ।

সিবিআই-কে তথ্য তুলে দিতে কাজ শুরু করে দিল প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ জুন ২০২২ ২০:২০
Share: Save:

প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির ঘটনায় তথ্য তলব করেছে সিবিআই। প্রাথমিক শিক্ষা সংসদকে দশ প্রশ্নের জবাব দিতে হবে কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থাকে।সেই তথ্য সংগ্রহের কাজ শুরু করে দিল সংসদ। গত ১৬ জুন প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের তরফে একটি নির্দেশিকা জারি করা হয়। সেই নির্দেশিকায় বলা হয়, সিবিআইয়ের হাতে তথ্য তুলে দিতে হবে। তাই ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় যাঁরা উত্তীর্ণ হয়ে প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি পেয়েছেন, তাঁদের তথ্য জমা দিতে বলা হচ্ছে।

সোমবার রাজ্য শিক্ষা দফতর থেকে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদগুলিকে একটি নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। তাতে মোট ১০টি তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে। নিয়োগপত্রের প্রতিলিপি, যোগদানের রিপোর্ট, ২০১৪ সালে টেট পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড,টেটে যোগ্যতা অর্জনের তথ্য, সর্বস্তরের পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড রেজাল্ট ও সার্টিফিকেট, প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের প্রশিক্ষণের শংসাপত্র, জাতিগত শংসাপত্র (যদি থাকে), পার্শ্বশিক্ষক নিয়োগ সংক্রান্ত ‘প্যারাটিচার এগেজমেন্ট লেটার’, আগে যদি কোনও কাজের অভিজ্ঞতা থাকে তার সংশাপত্র (যদি থাকে) এবং ২০১৪ সালের টেট সংক্রান্ত যদি কোনও তথ্য থেকে থাকে, তা-ও জমা দিতে বলা হয়েছে।

ঘটনাচক্রে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সোমবার বলেন, ‘‘শিক্ষায় যদি এক লক্ষ চাকরি হয়ে থাকে, তাহলে তাতে ১০০টির ক্ষেত্রে ভুল রয়েছে। তা আমরা শুধরে নেব।’’ মুখ্যমন্ত্রীর এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করেই আক্রমণ শানিয়েছে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষা কর্মী সমিতি। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘শিক্ষক নিয়োগে যে দুর্নীতি হয়েছে তা মুখ্যমন্ত্রী প্রকারান্তরে আজ বিধানসভায় স্বীকার করে নিয়েছেন। আজ প্রাথমিক বোর্ড থেকে যে তথ্য চাওয়া হয়েছে তাতেও প্রমাণিত নিয়োগে দুর্নীতি হয়েছে। আমরা চাই এর সঠিক তদন্ত করে অপরাধীদের শাস্তি দেওয়া হোক। অর্থের বিনিময়ে চাকরি দেওয়া দণ্ডনীয় অপরাধ। তাই অপরাধীদের শাস্তি চাই।’’

এ প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘‘আমাদের দাবি, যাঁরা ঘুরপথে চাকরি পেয়েছেন তাঁদের নয়, যোগ্য ব্যক্তিদের চাকরি দিতে হবে। সঙ্গে আদালতের নির্দেশে শিক্ষক নিয়োগের দুর্নীতি নিয়ে সিবিআই যে তদন্ত করছে, তাতে গতি এনে অপরাধীদের শাস্তি দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’’

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE