Advertisement
২৯ এপ্রিল ২০২৪
Loksabha Election 2024

লোকসভা ভোটের প্রস্তুতি পর্বে স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের কাছে তথ্য তলব জেলা প্রশাসনের

রাজ্য সরকারের নির্দেশে জেলাশাসকরাই ভোটকর্মী নিয়োগের নির্দেশ দেবেন। সেই পর্যায়েই স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের কাছে তথ্য তলব করেছে জেলা প্রশাসন।

The state government has called for information from school head teachers in preparation for the Lok Sabha polls 2024

২০২৪ সালের লোকসভা ভোটের প্রস্ততি শুরু নির্বাচন কমিশনের। — ফাইল চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ১৫:১০
Share: Save:

আগামী বছর দেশের অষ্টাদশ লোকসভা নির্বাচন। প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন। সেই প্রস্তুতিপর্বে এ বার স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের কাছে তথ্য তলব করেছেন বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকরা। সব রাজ্যে গিয়ে পৃথক ভাবে প্রশাসনের সঙ্গে ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে আলোচনা করছেন নির্বাচন কমিশনের আধিকারিকরা। সেই পর্যায়েই লোকসভা ভোট পরিচালনার জন্য কর্মী পেতে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারের কাছে নিজেদের প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়েছে কমিশন। সেই প্রয়োজনীয়তার কথা মাথায় রেখেই এ বার জেলা প্রশাসন মারফত ভোট কর্মী পেতে উদ্যোগী হয়ছে রাজ্য।

রাজ্য সরকারের নির্দেশ পেয়েই জেলাশাসকরা স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের কাছে তথ্য তলব করেছেন। এক নির্দেশনামায় বলা হয়েছে, স্কুলে কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শিক্ষাকর্মীদের যাবতীয় তথ্য যাচাই করবেন প্রধান শিক্ষক। তারপরেই সেই তথ্য জেলা প্রশাসনকে পাঠানো হবে। সেই তথ্য পাঠানোর একটি নির্দিষ্ট ঠিকানাও বলে দেওয়া হয়েছে। নির্দেশিকায় থাকা একটি পোর্টালে যাবতীয় তথ্য দিতে হবে। তবে সবার আগে স্কুলের সব শিক্ষক-শিক্ষিকার তথ্য যাচাই করাকে গুরুত্ব দিচ্ছে কমিশন। তথ্য জমা দেওয়ার শেষ দিন হিসেবে ধার্য করা হয়েছে ৩১ অক্টোবর। তবে রাজ্য প্রশাসনের একটি সূত্র জানাচ্ছে, যে হেতু অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহ থেকে রাজ্যের সব স্কুলে শারদোৎসবের ছুটি শুরু হয়ে যাবে। তাই জেলা প্রশাসনের তরফে মৌখিক ভাবে পুজোর ছুটির আগেই তথ্য জমা দেওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে।

তবে এ ক্ষেত্রে আপত্তি করেছে পশ্চিমবঙ্গ ভোটকর্মী মঞ্চ। তাদের তরফে সংগঠনের নেতা স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার যে নতুন শিক্ষানীতি তৈরি করেছে, তাতে উল্লেখ করা হয়েছে যে শিক্ষকদের শিক্ষা সংক্রান্ত কোনও কাজ ছাড়া আর অন্য কোনও কাজে নিয়োগ করা যাবে না। কেন্দ্রীয় সরকার তো জাতীয় শিক্ষানীতি কার্যকর করতে রাজ্যগুলির ওপর চাপ তৈরি করতে চাইছে। অথচ নিজেদের তৈরি নীতি নিজেরাই ভেঙে দিচ্ছে।’’ তাঁর আরও দাবি, নির্বাচন কমিশন জাতীয় শিক্ষানীতিতে বলা শর্ত ভেঙে শিক্ষকদের ভোটের কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে। কমিশনের এই নীতির আমরা তীব্র বিরোধিতা করছি।’’ উল্লেখ্য, আগামী বছর মার্চ-এপ্রিম-মে মাস জুড়ে দেশে লোকসভা ভোট হবে। সেই ভোট পরিচালনা করতে কমিশনের ভরসা বিভিন্ন সরকারি দফতরে কর্মরত কর্মচারীরাই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE