Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪
Mamata Banerjee

W.B Assembly: পাঁচ দিনে ২৫ বিল পাশ হবে কী করে? চিন্তায় তৃণমূল, পেশ হবে আচার্য বিলও

বাদল অধিবেশনেই পাশ হতে পারে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে রাজ্যপালের বদলে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য পদে বসানোর বিল।

বিধানসভায় পাশ হবে রাজ্যপালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার বিল।

বিধানসভায় পাশ হবে রাজ্যপালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার বিল। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ জুন ২০২২ ১৮:০৬
Share: Save:

এক সপ্তাহের অধিবেশনে পাশ করতে হবে এক ঝাঁক শিক্ষা বিল। তা নিয়ে ঘোর দুশ্চিন্তায় পড়েছে তৃণমূল পরিষদীয় দল। আগামী ১০ জুন শুরু হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভার বাদল অধিবেশন। আর এই অধিবেশনেই পাশ হতে পারে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে রাজ্যপালের বদলে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য পদে বসানোর বিল। সঙ্গে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে ‘ভিজিটর’ পদ থেকে রাজ্যপালকে সরিয়ে শিক্ষামন্ত্রীকে ওই পদে বসানোর বিলটিও পাশ করা হতে পারে। কিন্তু প্রত্যেক বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রেই পৃথক পৃথক বিল এনে পাশ করাতে হবে। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলি স্বশাসিত সংস্থা। তাই আইনগত ভাবে আচার্য পদে বদল আনতে হলে বিধানসভায় সংশোধনী বিল আনা আবশ্যিক।

পশ্চিমবঙ্গে বর্তমানে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১৯টি। আর বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা প্রায় পাঁচ থেকে সাতটি। তাই সব মিলিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য ও শিক্ষামন্ত্রীকে ‘ভি়জিটর’ পদে বসাতে গেলে বাদল অধিবেশনে প্রায় ২৫টি বিল পাশ করানো হতে পারে। কিন্তু কাগজে-কলমে এক সপ্তাহের অধিবেশন বলা হলেও, আসলে অধিবেশনের কাজকর্ম হবে পাঁচ দিন। ১৩-১৭ জুনের অধিবেশনে এই সংশোধনী বিলগুলি পাশ করানো হতে পারে। কিন্তু, এত অল্প সময়ে কী ভাবে এত বেশি সংখ্যক বিল পাশ করা যাবে, তা নিয়ে ঘোর দুশ্চিন্তায় পড়েছে তৃণমূল পরিষদীয় দল।

কারণ, কোনও সংশোধনী বিল পাশ করাতে গেলে তাতে আলোচনার সময় রাখতে হয়। এই আলোচনা আধ ঘণ্টা থেকে শুরু করে দু’ঘণ্টা পর্যন্ত চলতে পারে। তাই ২৫ বা তার বেশি সংখ্যক বিল পেশ ও তা নিয়ে আলোচনার জন্য সময় কমাতে হতে পারে। সে কারণে বিকল্প পথের সন্ধানে তৃণমূল পরিষদীয় দল। যদিও বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় ও পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মধ্যে।

তৃণমূল পরিষদীয় দলের এক বর্ষীয়ান সদস্য জানিয়েছেন, সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিলগুলি পৃথক ভাবে পেশ করা হবে। তবে আলোচনার ক্ষেত্রে দু’টি বিষয়কেই এক করে দেওয়া হবে। সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় সংক্রান্ত বিলগুলি নিয়ে যেমন একত্রে আলোচনা হবে। তেমনই বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় বিষয়ক বিলগুলি নিয়েও একত্রে আলোচনা হবে। কারণ প্রসঙ্গে ওই বর্ষীয়ান বিধায়ক জানিয়েছেন, একাধিক বিল হলেও সংশোধনীর ক্ষেত্রে বয়ান একই থাকবে। তাই আলাপ-আলোচনা করে বিষয়টি ঠিক করে নেওয়া যেতেই পারে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE