ভোট ঘোষণার পরদিনই ভবানীপুরে প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সমর্থনে কর্মিসভা তৃণমূলের। নিজস্ব চিত্র।
বিজেপি নয়, ভবানীপুরে উপনির্বাচনে কোভিড সংক্রমণই প্রধান শত্রু তৃণমূলের। কোভিড সংক্রমণের কারণেই এত দেরিতে ভবানীপুরে উপনির্বাচন করছে কমিশন। শনিবার ভোট ঘোষণার সঙ্গে প্রচারে নেমে পড়েছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। রবিবার বিকেলে ৭২ নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূলের পক্ষে ভবানীপুরের লেডিজপার্কে এক কর্মিসভার আয়োজন করেছিল তৃণমূল। সেই কর্মিসভাতেই বিজেপি-র চেয়ে বেশি তৃণমূল নেতৃত্বের কথায় বার বার উঠে এল কোভিড প্রসঙ্গ। এই কোভিডপর্বের ভোট প্রচারে অতিউৎসাহী হয়ে কর্মীরা যে সমাবেশ থেকে মিছিল কিছুই করতে পারবেন না তা বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী বলেন, ‘‘কোভিড সংক্রমণ নিয়ে নির্বাচন কমিশন কড়া পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছে। আমাদের লক্ষ্য হবে, ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করা। ভোটের দিন কোভিডবিধি মেনে নিজের পার্টের ভোটারদের এনে সুষ্ঠুভাবে ভোটদান করানো। সবক্ষেত্রেই আমরা কমিশনের দেওয়া করোনাবিধি মানব।’’ দক্ষিণ কলকাতা জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা দেবাশিস কুমার আবার বিধি ভেঙে প্রচার করলে কমিশন কী পদক্ষেপ করতে পারে সে বিষয়ে কর্মীদের সতর্ক করে দেন। তিনি বলেন, ‘‘কোনও প্রার্থী যদি বিধি ভেঙে ভোট প্রচার করেন, তাহলে তাঁকে আর প্রচার করতে দেওয়া হবে না। তাই প্রচারের ক্ষেত্রে যেন কেউ বিধিভঙ্গ না করেন। সেক্ষেত্রে প্রত্যেক কর্মীকে আরও দায়িত্বশীল হতে হবে।’’
পরিবহণমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীর ভোটের প্রচার করতে চেয়ে অনেকেই আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করছেন। কিন্তু এবার কমিশন করোনা সংক্রমণের কারণে যে নির্দেশ দিয়েছে, তার কারণেই আমরা ভবানীপুরের বাইরের কোনও নেতাকে প্রচারে আসতে নিষেধ করেছি।’’
প্রচারসভার ক্ষেত্রে ৫০ জন কর্মী অংশগ্রহণ করতে পারবেন। সঙ্গে বলা হয়েছে বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করতে পারবেন মাত্র পাঁচজন কর্মী। তাই প্রত্যেক বুথ এবং পার্টের দায়িত্ব থাকা নেতাদের প্রচারের ক্ষেত্রে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে। তৃণমূলের শাখা সংগঠন জয়হিন্দ বাহিনীর সভাপতি কার্ত্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এবারের ভোটে আগের মতো প্রচার আর করা যাবে না। বড় সভা বা সমাবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তাই প্রচারের দায়িত্ব নিচুতলার কর্মীদেরই। কিন্তু প্রচারের ক্ষেত্রে যাতে কর্মীরা কমিশনের বেঁধে দেওয়া বিধিভঙ্গ না করেন সেদিকেই নজর রাখতে হবে।’’ এই কর্মিসভায় হাজির ছিলেন দক্ষিণ কলকাতার তৃণমূল সাংসদ মালা রায়, ৭২ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূলের কো-অর্ডিনেটর সন্দীপ বক্সী, কলকাতা পুর প্রশাসকমণ্ডলীর সদস্য রতন দে প্রমুথ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy