—ফাইল চিত্র।
সকাল সকাল শিয়ালদহে রেলে গোলযোগ। যান্ত্রিক পদ্ধতিতে হাজিরা দিতে পারলেন না লোকো পাইলটেরা (ট্রেনচালক)। ফলে প্রায় ৪৩ মিনিট ধরে শিয়ালদহ উত্তর এবং দক্ষিণ শাখায় বিঘ্নিত হল ট্রেন পরিষেবা। বেশ কিছু ট্রেন দেরিতে চলায় অফিস টাইমে ভোগান্তির মুখে পড়তে হল নিত্যযাত্রীদের।
মঙ্গলবার সকালে শিয়ালদহ স্টেশনে রেলের ‘ক্রু ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ (সিএমএস)-এ ‘লিঙ্ক ফেলইওর’ হওয়ায় হাজিরা দিতে পারেননি ট্রেনের চালকেরা। সকাল ৯টা ৫৫ মিনিট থেকে সকাল ১০টা ৩৮ মিনিট পর্যন্ত ‘লিঙ্ক ফেলইওর’ ছিল। ফলে চালকেরা কাজে যোগ দিতে পারেননি। এই কারণে ওই সময় শিয়ালদহ উত্তর এবং দক্ষিণ শাখায় বেশ কয়েকটি ট্রেন দেরিতে চলে।
কাজে যোগ দেওয়ার আগে সিএমএসের মাধ্যমে হাজিরা দিতে হয় চালকদের। ভারতীয় রেলের একটি ‘আইটি অ্যাপ্লিকেশন’ এটি। অফিসে কর্মীদের হাজিরা দেওয়ার জন্য যেমন বায়োমেট্রিক ব্যবস্থা রয়েছে, রেলের সিএমএস খানিকটা তেমনই। সিএমএসের মাধ্যমেই প্রতি দিন হাজিরা দেন চালকেরা। সেখানে ব্রেথ এনালাইজারও থাকে। রেলের নিয়ম অনুযায়ী, লোকো পাইলট (চালক) এবং ট্রেন ম্যানেজার (গার্ড) দু’ধরনের কর্মীদেরই এই সিএমএস পদ্ধতিতে হাজিরা দিতে হয়। কিন্তু গার্ডদের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতিতে হাজিরা না-দিলেও চলে। অর্থাৎ, তাঁদের খাতায়কলমে হাজিরা দিলেই হয়। কিন্তু ট্রেনের চালকদের ক্ষেত্রে সিএমএসে হাজিরা দেওয়া বাধ্যতামূলক। খাতায়কলমে হাজিরার কোনও নিয়ম নেই। প্রাক্তন রেল কর্মীদের একাংশের মতে, গার্ডদের ক্ষেত্রেও এই নিয়ম চালু থাকা উচিত যাত্রী নিরাপত্তার স্বার্থেই।
চালকদের একাংশের দাবি, লিঙ্ক ফেলিওরের মতো ঘটনা ঘটলে তাঁরা যাতে খাতায়কলমে হাজিরা দিতে পারেন, সেই বিষয়ে রেলের সবুজসঙ্কেত দেওয়া উচিত। তা হলে অন্তত যাত্রীরা ভোগান্তির মুখে পড়বেন না। যদিও এই প্রসঙ্গে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কৌশিক মিত্র কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তিনি বলেন, ‘‘এটা রেলের নিজস্ব ব্যাপার। এ বিষয়ে কোনও মন্তব্য করব না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy