শীতের সকালে আলিপুর চিড়িয়াখানায় ইউনিয়ন গঠন নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি-র মধ্যে ধুন্ধুমার। নিজস্ব চিত্র।
ইউনিয়ন দখলকে কেন্দ্র করে সপ্তাহের প্রথম দিনেই ধুন্ধমার আলিপুর চিড়িয়াখানায়। সোমবার সকাল সকাল চিড়িয়াখানার গেটে জড়ো হতে শুরু করেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। স্লোগান দিতে দিতেই শুরু হয় বিজেপি-র বিরুদ্ধে বিক্ষোভ। উত্তেজিত তৃণমূল সমর্থকরা এক সময় চিড়িয়াখানায় লাগানো বিজেপি-র পতাকা খুলে ফেলে দিতে থাকেন। সঙ্গে ঘোষণা করে দেওয়া হয়, চিড়িয়াখানায় পথ চলা শুরু করল তৃণমূল অনুমোদিত শ্রমিক সংগঠনের (আইএনটিটিইউসি) নতুন ইউনিয়ন। নাম দেওয়া হয়েছে, আলিপুর জু একতা ইউনিয়ন।
পরে চিড়িয়াখানায় আসেন দক্ষিণ কলকাতা আইএনটিটিইউসি-র সভাপতি তথা কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় ও তৃণমূল জয়হিন্দ বাহিনীর সভাপতি কার্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়। উত্তেজিত কর্মী সমর্থকদের সঙ্গে কথা বলে তাঁরা পরিস্থিতি আয়ত্তে আনেন। পরেতাঁরাই যুগ্মভাবে নতুন সংগঠন শুরুর কথা ঘোষণা করে দেন। অভিজিৎ বলেন, ‘‘এতদিন চিড়িয়াখানায় কোনও স্বীকৃত কর্মচারী ইউনিয়ন ছিল না। সোমবার থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃত ইউনিয়ন পথচলা শুরু করল। ৩৪৪ জন কর্মী নিয়ে এই ইউনিয়ন কাজ করবে।’’ তিনি আরও দাবি করেন, বিজেপি-র যে ইউনিয়ন রয়েছে বলা হচ্ছে, তা স্বীকৃত কোনও ইউনিয়ন নয়। তারা চি়ড়িয়াখানার কর্মীদের ভালমন্দের খবর রাখে না। এমনকি কর্মীদের দাবিপূরণেও সক্ষম নয়। তাই তৃণমূল সমর্থিত ইউনিয়ন এখন থেকে কর্মচারীদের যাবতীয় দাবিপূরণে কাজ করবে।
তবে বিজেপি নেতা রাকেশ সিংহর দাবি, চিড়িয়াখানা ইউনিয়নে তাঁদের কোনও সদস্য অন্য কোনও ইউনিয়নের যোগ দেননি।তিনি বলেন, ‘‘কাউকে কাউকে ভুল বোঝানো হয়েছে আমি বিজেপিছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেব। কিন্তু যখন তাঁরা জানতে পারেন আমি দল ছাড়ছি না, তখন তাঁরা আমার সঙ্গেই থাকার সিদ্ধান্ত নেন। তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে আমার ইউনিয়ন নাকি স্বীকৃত নয়। তা ঠিক নয়। চিড়িয়াখানার স্থায়ী ও ঠিকা কর্মীরা সকলেই আমার ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত।’’
তাঁর অভিযোগ, করোনা অতিমারির সময় এভাবে চিড়িয়াখানায় তৃণমূল নেতারা যে জমায়েত করেছেন, তা সম্পূর্ণ অবৈধ ও বেআইনি। তাঁদের বিরুদ্ধে অবিলম্বে, বিপর্যয় মোকাবিলা আইনে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান তিনি। কিন্তু তিনি নিশ্চিত, স্থানীয় ওয়াটগঞ্জ থানা এ কাজ করবে না। কারণ পুলিশ তৃণমূলের কথায় চলছে। গোলমাল করে ইউনিয়ন দখলের চেষ্টা গত কয়েক মাস ধরেই চলছিল বলে তাঁর অভিযোগ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy