অনুব্রত মণ্ডল
রণে, বনে, জলে, জঙ্গলে বীরভূমের পথে পথে নাকি ‘উন্নয়ন’ দাঁড়িয়ে! সেই ‘উন্নয়ন’কে দেখেই জেলার ১৬৭টি গ্রাম পঞ্চায়েতে বিরোধীরা মনোনয়ন জমা দিতে যাবেন না। এ কথা জানিয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল( কেষ্ট)-এর।
সোমবার থেকে শুরু হয়েছে ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের মনোনয়ন পর্ব। শুরুতেই বীরভূমের বিভিন্ন প্রান্তে শাসক দলের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছে। বিরোধীদের বক্তব্য, গুণ্ডাবাহিনী নামিয়ে গণতন্ত্রের কন্ঠরোধ করা হচ্ছে। তৃণমূল বিনা লড়াইয়ে সব পঞ্চায়েত জেতার কৌশল করেছে। পুলিশ প্রশাসন এ সব দেখেও নির্বিকার রয়েছে।
বিরোধীদের অভিযোগ শুনে বিস্মিত কেষ্টবাবু। সোমবার তিনি জানান, কী ভাবে প্রার্থী পাবে বিরোধীরা! মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কন্যাশ্রী, যুবশ্রী, শিক্ষাশ্রী, চাল, সাইকেল, রাস্তা, জল সব দিয়েছেন। তা দেখেই মানুষ খুশি। বিরোধীরা বাড়ি বাড়ি ঘুরেও প্রার্থী পাচ্ছেন না। তাই বীরভূমের অধিকাংশ আসনেই তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বীতায় জিতবে।
তা হলে লড়াই হবে না?
কেষ্টবাবুর জবাব, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকাশের রাজনীতি দেখার পরেও কিছু মানুষ নিশ্চয় থাকবেন, যাঁরা ভোটে লড়তে চাইবেন। তাঁদের আমরা ‘উন্নয়ন’ দেখিয়ে দেব। সেই উন্নয়ন দেখানোরপ কৌশলও জানিয়েছেন বীরভূমের এই নেতা। তাঁর বক্তব্য,‘‘কোনও বাধা না মেনে যে সব প্রার্থী তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়তে চাইবেন তাঁরা যখনই মনোনয়ন করতে বেরবেন, দেখবেন রাস্তায় ‘উন্নয়ন’ দাঁড়িয়ে আছে। কখনও বা ব্লক অফিসে ‘উন্নয়ন’ দাঁড়িয়ে থাকবে। চারদিকে এত উন্নয়ন দেখে ইচ্ছা থাকলেও ওই ব্যক্তিরা আর মনোনয়ন জমা দিতে যাবেন না।
এর পরেই কেষ্টবাবুর প্রশ্ন, যদি উন্নয়ন দেখে কেউ মনোনয়ন জমা না দেন, তার দায় কি তৃণমূলের? বিরোধীদের কোনও কাজ নেই তাই আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা সন্ত্রাসের অভিযোগ তুলছেন।
কেষ্টবাবুর উন্নয়ন-কৌশল শুনে বিজেপির শমীক ভট্টাচার্য অবশ্য বলেন,‘‘ রাস্তায় উন্নয়ন দেখে আমাদের কর্মীরা না হয় ঘরে ঢুকে যাবেন, কিন্তু যে দিন উন্নয়ন কেষ্টবাবুর ঘরে ঢুকবে সে দিন উনি কোথায় যাবেন?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy