Advertisement
E-Paper

ফাঁস করেছেন স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য! গোপনীয়তা লঙ্ঘনের অভিযোগে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে মামলা ২০টি মার্কিন প্রদেশে

অভিযোগ, গত মাসে মার্কিন স্বাস্থ্য বিভাগের কর্তারা বহু মানুষের স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত ব্যক্তিগত তথ্য হোমল্যান্ড সিকিয়োরিটি বিভাগের হাতে তুলে দিয়েছেন। প্রশাসনের দাবি, বিভিন্ন স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরিষেবায় মার্কিন নাগরিকদের পাশাপাশি নথিভুক্ত করা হয়েছে অভিবাসীদের নামও।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০২৫ ১০:৩৪
ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ডোনাল্ড ট্রাম্প। — ফাইল চিত্র।

কয়েক লক্ষ মার্কিন নাগরিকের স্বাস্থ্য-সংক্রান্ত ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়ে গিয়েছে! অভিযোগ এমনটাই। সে সব তথ্য তুলে দেওয়া হয়েছে অভিবাসন বিষয়ক দফতর তথা হোমল্যান্ড সিকিয়োরিটি বিভাগের হাতে। এমনই নানা গুরুতর অভিযোগে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের বিরুদ্ধে মামলা করল ক্যালিফর্নিয়া-সহ ২০টি মার্কিন স্টেট।

সংবাদ সংস্থা এপি-র প্রতিবেদন সূত্রে খবর, মার্কিন স্বাস্থ্যসচিব রবার্ট এফ কেনেডি জুনিয়রের উপদেষ্টারা গত মাসে ক্যালিফর্নিয়া, ইলিনয় এবং ওয়াশিংটনের নাগরিকদের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ব্যক্তিগত তথ্য হোমল্যান্ড সিকিয়োরিটি বিভাগের হাতে তুলে দিয়েছেন। ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি, ওই স্টেটগুলিতে বিভিন্ন স্বাস্থ্য সংক্রান্ত পরিষেবায় মার্কিন নাগরিকদের পাশাপাশি অভিবাসীদের নামও নথিভুক্ত করা হয়েছে। অথচ সব খরচ বহন করা হচ্ছে রাষ্ট্রীয় করদাতাদের টাকায়! এর পরেই কয়েক লক্ষ মানুষের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ব্যক্তিগত তথ্য হোমল্যান্ড সিকিয়োরিটি বিভাগের হাতে তুলে দেওয়ার নির্দেশ দেয় ট্রাম্প প্রশাসন। তবে ক্যালিফর্নিয়া-সহ মার্কিন স্টেটগুলির দাবি, এতে যুক্তরাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা আইন লঙ্ঘন করা হয়েছে। এর পরেই ট্রাম্পের এই ‘অনৈতিক’ পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন রাষ্ট্রনেতারা।

এ বিষয়ে ক্যালিফর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল রব বন্টা বলেন, ‘‘বহু মানুষের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত সংবেদনশীল এবং ব্যক্তিগত তথ্য অবৈধ ভাবে আইসিই-র হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের ফলে দীর্ঘ দিনের যুক্তরাষ্ট্রীয় গোপনীয়তা লঙ্ঘিত হয়েছে।’’ শুধু তা-ই নয়, বন্টার দাবি, এর ফলে মার্কিন স্টেটগুলিতে ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। সাধারণ মানুষ ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়ার ভয়ে জরুরি চিকিৎসা পরিষেবা নিতে চাইছেন না। সংবাদ সংস্থা এপি জানিয়েছে, যে সব তথ্য ফাঁস হয়েছে, তার মধ্যে নাম, ঠিকানা, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি অভিবাসী কি না, সোশ্যাল সিকিয়োরিটি নম্বর এবং স্বাস্থ্যবীমা সংক্রান্ত তথ্য রয়েছে। বিভিন্ন স্টেটের নেতাদের দাবি, আমেরিকা জুড়ে অভিবাসন সংক্রান্ত যে কড়াক়ড়ি শুরু হয়েছে, এই পদক্ষেপ আসলে তারই অংশ। যদিও এ সব দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন মার্কিন স্বাস্থ্য বিভাগের মুখপাত্র অ্যান্ড্রু নিক্সন। প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দিয়ে নিক্সন বলেন, ‘‘এই পদক্ষেপ সমস্ত আইন মেনেই করা হয়েছে। মূলত এটা নিশ্চিত করাই প্রশাসনের উদ্দেশ্য, যাতে সরকারি সুযোগসুবিধা শুধুমাত্র তাঁরাই পান, যাঁরা আইনত সেগুলি পাওয়ার অধিকারী।’’

Donald Trump US Health medical aid
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy