কী করে বোমা বানাতে হয়, তা অনলাইনে শিখছিলেন এক পাকিস্তানি ছাত্র! ফেসবুক এবং ইনস্টাগ্রাম ঘেঁটে বোমা বানানো শিখছিলেন তিনি। পাকিস্তান সরকারের ঘোষিত এক নিষিদ্ধ সংগঠন এবং জঙ্গিদের সঙ্গেও তিনি সমাজমাধ্যমে যোগাযোগ করতেন বোমা তৈরি শেখার জন্য। পাকিস্তানি তদন্তকারী সংস্থা এফআইএ-র হাতে ধরা পড়ার পরে দোষী সাব্যস্তও হয়েছেন তিনি। লাহৌরের এক আদালত ওই তরুণের আড়াই বছরের জেল এবং ৫০ হাজার পাকিস্তানি রুপি জরিমানার নির্দেশ দিয়েছে।
হান্নান আবদুল্লাহ নামে ওই তরুণ পাকিস্তানের পঞ্জাব প্রদেশের নারোয়াল বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়া। সমাজমাধ্যম থেকে বোমা বানানোর তথ্য সংগ্রহের অভিযোগে ২০২২ সালে তাঁকে গ্রেফতার করে পাকিস্তানের তদন্তকারী সংস্থা। এফআইএ-র এক আধিকারিক পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন-কে জানিয়েছেন, ইনস্টাগ্রামে ‘ইব্ন-এ-আবদুল্লা আল-পাকিস্তানি’ নামে একটি হ্যান্ডল ব্যবহার করতেন। ওই হ্যান্ডল থেকে তিনি ইরাকের কয়েক জন সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তাঁদের কাছ থেকে বোমা তৈরি করা শিখতে চাইছিলেন হান্নান।
২০২২ সালে গ্রেফতার হলেও পরে জামিন পেয়ে যান পাকিস্তানের ওই পড়ুয়া। ২০২৩ সাল থাকে হান্নান জামিনে মুক্ত ছিলেন। লাহৌরের আদালত সাজা ঘোষণার পরে ফের তাঁকে পাকড়াও করা হয়। এফআইএ-র ওই আধিকারিক ‘ডন’কে জানিয়েছেন, ‘প্রফেশনাল কুক ৬৭’ নামে এক সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীর সঙ্গে যোগাযোগ ছিল হান্নানের। অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, সালফার, অ্যামোনিয়াম পাউডার, চারকোল এবং অন্য উপকরণ ব্যবহার করে কী ভাবে বিস্ফোরক তৈরি করতে হয়, তা ওই সমাজমাধ্যম ব্যবহারকারীর থেকে শিখতেন অভিযুক্ত।
আরও পড়ুন:
পাকিস্তানি তদন্তকারী সংস্থার দাবি, ইউটিউবেও বোমা তৈরির ভিডিয়ো দেখতেন ওই তরুণ। যদিও হান্নানের দাবি, তিনি স্রেফ কৌতূহলের কারণেও বোমা তৈরির তথ্য সংগ্রহ করতেন। অভিযুক্ত বোমা তৈরি শিখছিলেন বলে তদন্তে উঠে এলেও তিনি বোমা তৈরির চেষ্টা করছিলেন বলে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি বলেই দাবি পাকিস্তানি তদন্তকারী সংস্থার।