কয়েক মাসের বিরতির পরে আবার সিরিয়ায় হানাদারি শুরু করল ইজ়রায়েলি সেনা। তবে ক্ষেপণাস্ত্র বা বিমানহানা নয়, সরাসরি ‘গ্রাউন্ড অপারেশন’। শুক্রবার রাতে দক্ষিণ সিরিয়ার বেইত জ়িন এলাকায় ইজ়রায়েলি সেনার গুলিবর্ষণে অন্তত ১৩ জন গ্রামবাসী নিহত হয়েছেন বলে শনিবার জানিয়েছে কট্টরপন্থী সুন্নি গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) পরিচালিত সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকার।
তেল আভিভও শনিবার সিরিয়ায় অভিযানের কথা স্বীকার করে নিয়েছে। ইজ়রায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকারের দাবি, একটি কট্টরপন্থী সশস্ত্র গোষ্ঠীর সঙ্গে সংঘর্ষে পাঁচ জন ইজ়রায়েলি সেনা আহত হওয়ার পরে পাল্টা হামলা চালানো শুরু হয়েছে। দক্ষিণ সিরিয়ার ওই অঞ্চলে সংখ্যালঘু ধর্মীয় গোষ্ঠী হিসাবে পরিচিত দ্রুজ়দের বসবাস। ধর্মবিশ্বাসের দিক থেকে তারা ইসলাম ধর্মের একটি শাখা হিসেবে নিজেদের দাবি করে। কিন্তু অতীতে আল কায়দা, আইএস-সহ বিভিন্ন কট্টরপন্থী সুন্নি সংগঠনের নিশানা হয়েছে দ্রুজ় জনগোষ্ঠী। সিরিয়া ছাড়াও লেবানন ও ইজ়রায়েলে দ্রুজ়দের বাস। সিরিয়ার সুন্নি ইসলামপন্থী বেদুইন সশস্ত্র বাহিনী গত কয়েক মাস ধরে নিশানা করছে দ্রুজ়দের। তাঁদের রক্ষা করতে এর আগেও কট্টরপন্থী সুন্নি জঙ্গিদের উপর পাল্টা হামলা চালিয়েছে ইজ়রায়েলি সেনা।
আরও পড়ুন:
গত বছরের ডিসেম্বরে সিরিয়ায় প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পরেও সেখানে ধারাবাহিক হামলা চালিয়েছিল ইজ়রায়েল। গোলান মালভূমির সিরিয়ার দিকে থাকা বাফার জ়োনের ‘দখল’ নিয়ে ইজ়রায়েলি সেনা পৌঁছে গিয়েছিল মাউন্ট হেরমনের কাছে। অন্য দিকে, সিরিয়ায় বিদ্রোহী গোষ্ঠী হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) এবং তাদের সহযোগী ‘জইশ আল-ইজ্জা’র যৌথবাহিনীর রাজধানী দামাস্কাস দখলের পরে শিয়া শাসক আসাদ সপরিবারে রাশিয়ায় পালিয়ে গিয়েছিলেন। সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শরার জমানায় শিয়াদের পাশাপাশি সংখ্যালঘু দ্রুজ় এবং কুর্দ জনগোষ্ঠীর উপরে সুন্নি সশস্ত্র বাহিনীর হামলার অভিযোগ উঠছে ধারাবাহিক ভাবে। যদিও সম্প্রতি সিরিয়ার অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান তথা প্রাক্তন আল কায়দা নেতা আল-শারার উপর থেকে সমস্ত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে রাষ্ট্রপুঞ্জ।