বিষধর সাপের হাত থেকে যুবককে বাঁচাল পোষ্য। ফাইল ছবি।
সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাত থেকে যুবককে বাঁচিয়ে দিল পোষ্য কুকুর। দীর্ঘ দিন ধরে সে যুবককে ঘরের নির্দিষ্ট একটি কোণে ঘেঁষতে দিচ্ছিল না। ওই কোণে রাখা একটি সোফার উপর বসতে গেলেই কুকুরটি চিৎকার করে তাঁকে সতর্ক করছিল বারবার। কয়েক দিন পর ফাঁস হল সেই চিৎকারের রহস্য।
যুবক দক্ষিণ আফ্রিকার বাসিন্দা। তিনি সাপ ধরেন। সম্প্রতি ফেসবুকে একটি দীর্ঘ পোস্ট করে তিনি তাঁর অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন। সেই সঙ্গে জানিয়েছেন তাঁর পোষ্যের সাহসিকতা এবং কেরামতির কথাও।
যুবক জানিয়েছেন, তাঁর ঘরের এক কোণে রাখা একটি সোফার নীচে লুকিয়ে ছিল একটি বিষধর ব্ল্যাক মাম্বা সাপ। বেশ কিছু দিন ধরে সাপটি সেখানেই ঘাপটি মেরে বসে ছিল। যুবক টেরও পাননি।
কিন্তু টের পেয়েছিল যুবকের পোষ্য রটওয়েলার কুকুর। তিনি লক্ষ্য করেন, বেশ কিছু দিন ধরে ওই সোফার দিকে তাকিয়ে চিৎকার করে ডাকাডাকি করছে কুকুরটি। এমনকি, যুবক সোফায় বসতে গেলে তাঁকে সরিয়ে দিচ্ছে পোষ্য।
কিছু দিন এ ভাবে চলার পর সন্দেহ হলে সোফাটি ঠেলে সরিয়ে দেন যুবক। দেখা যায়, বিষধর সাপটি গুটিয়ে বসে আছে সোফার ঠিক নীচে। না জেনে ওই সোফায় এক বার বসলেই সাপের ছোবল ছিল অবধারিত। ফলে নিশ্চিত মৃত্যুর হাত থেকে পোষ্যই বাঁচিয়ে দেয় যুবককে।
যুবক জানিয়েছেন, সোফা সরানোর পর সাপটিকে দেখে তার দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে কুকুর। তাকে আক্রমণ করার চেষ্টা করে। কিন্তু তিনি তাকে নিরাপদ দূরত্বে সরিয়ে দিয়েছেন। সাপটিকেও উদ্ধার করে যথাস্থানে পাঠিয়ে দিয়েছেন তিনি।
সর্প বিশেষজ্ঞেরা জানান, ব্ল্যাক মাম্বা প্রজাতির সাপ অত্যন্ত বিষধর। এই সাপগুলির ছোবলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসার ব্যবস্থা না করা গেলে ২০ মিনিটের মধ্যে নেমে আসতে পারে মৃত্যু। যুবকের কাহিনি শুনে পোষ্য কুকুরটিকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন নেটাগরিকেরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy