Advertisement
E-Paper

ট্রাম্পের প্রস্তাবে সাড়া দিল জিনপিং সরকার, শুল্ক নিয়ে সংঘাত এড়াতে দ্রুত দ্বিপাক্ষিক বৈঠকের ঘোষণা

বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আলোচনাকারী চিনা প্রতিনিধিদলের প্রধান তথা চিনা উপপ্রধানমন্ত্রী হি লিফেং শুক্রবার মার্কিন বাণিজ্যসচিব স্কট বেসেন্টের সঙ্গে ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে আলোচনা করেন।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৮ অক্টোবর ২০২৫ ০৯:২৩
(বাঁ দিক) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (ডান দিকে)।

(বাঁ দিক) মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বার্তায় সাড়া দিল চিন। শুল্ক-সংঘাত এড়াতে যত দ্রুত সম্ভব ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনা শুরু করা হবে বলে শনিবার জানিয়ে দিয়েছে বেজিং। চিনা পণ্যের উপর ১০০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্ক আরোপ করা নিয়ে শুক্রবার সুর নরম করেছিলেন ট্রাম্প! সমাস্যার সমাধানে তিনি চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিঙের সঙ্গে বৈঠকের বার্তাও দিয়েছিলেন। তার পরেই এই বার্তা এল বেজিং থেকে।

বাণিজ্যচুক্তি নিয়ে আলোচনাকারী চিনা প্রতিনিধিদলের প্রধান তথা চিনা উপপ্রধানমন্ত্রী হি লিফেং শুক্রবার মার্কিন বাণিজ্যসচিব স্কট বেসেন্টের সঙ্গে ভিডিয়ো কলের মাধ্যমে আলোচনা করেন। তার পরেই ওই বার্তা প্রচার করে একদলীয় চিনের সরকারি সংবাদ সংস্থা শিনহুয়া। তাতে বলা হয়, ‘‘বিস্তারিত ও গঠনমূলক আলোচনা হয়েছে।’’ প্রসঙ্গত, গত ১০ অক্টোবর চিনা পণ্যে ১০০ শতাংশ বাড়তি শুল্ক বসানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন ট্রাম্প। চিনা প্রেসিডেন্ট জিনপিঙের সরকার বিরল মৃত্তিকা রফতানির ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ আরোপের পরেই ওই পদক্ষেপ করেছিলেন তিনি। ১ নভেম্বর থেকে বাড়তি শুল্ক কার্যকর করা হবে বলেও জানিয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

এর পরে আমেরিকার ১০০ শতাংশ শুল্কের হুঁশিয়ারির পাল্টা দিয়েছিল বেজিং। বলা হয়েছিল, এটা আমেরিকার ‘দ্বিচারিতা’র নিদর্শন। যদি ১০০ শতাংশ অতিরিক্ত শুল্কের হুমকি কার্যকর করা হয়, তবে পাল্টা পদক্ষেপ করবে চিন। গত ১৩ অক্টোবর অবস্থান কিছুটা নরম করে ট্রাম্প সমাজমাধ্যমে লিখেছিলেন, ‘‘চিনকে নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। সব ঠিক হয়ে যাবে। সম্মাননীয় প্রেসিডেন্ট জিনপিঙের সময় একটু খারাপ যাচ্ছিল। গোটা চিন অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ুক, এটা উনি চান না, আমিও চাই না।’’ সেই সঙ্গে আমেরিকার অবস্থান ব্যাখ্যা করে ট্রাম্প লিখেছিলেন, ‘‘আমেরিকা তো চিনকে সাহায্যই করতে চায়, আঘাত করতে নয়!’’

শুক্রবার সুর আরও নরম করে ট্রাম্প সরাসরি দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের বার্তা দিয়েছেন। একটি মার্কিন সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তাঁর মন্তব্য, ‘‘আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যে আমি চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিঙের সঙ্গে সাক্ষাৎ করব। আশা করছি আগামী দিনে সব দ্বিপাক্ষিক সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।” সেই সঙ্গে চিনা পণ্যের উপর বাড়তি শুল্ক দীর্ঘস্থায়ী হবে না বার্তা দিয়ে তাঁর সাফাই, ‘‘আমি শুল্ক চাপাতে চাইনি। শুল্ক চাপালে সমস্যার স্থায়ী সমাধান হয় না। কিন্তু ওরা (চিন) আমাকে শুল্ক আরোপ করতে বাধ্য করেছে।”

US Tariff War US Tariff Donald Trump Tariff War Trump Tariff US-China Trade War Donald Trump Xi Jinping
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy