Advertisement
E-Paper

আরও ৩৬ দেশের নাগরিকদের জন্য দরজা বন্ধ করতে পারে আমেরিকা! প্রকাশ্যে চলে এল ট্রাম্প প্রশাসনের তৈরি তালিকা

আমেরিকার প্রশাসন সূত্রে খবর, সে দেশে প্রবেশের জন্য বেশ কিছু ‘মানদণ্ড’ স্থির করা হয়েছে। যাদের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোর কথা ভাবা হচ্ছে, তাদের অনেকেই সেই ‘মানদণ্ড’ মানতে ব্যর্থ।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৫ জুন ২০২৫ ১৬:২৯
ডোনাল্ড ট্রাম্প।

ডোনাল্ড ট্রাম্প। — ফাইল চিত্র।

আরও ৩৬ দেশের জন্য দরজা বন্ধ করতে পারে আমেরিকা। সেই নিয়ে চিন্তাভাবনা করছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। এমনটাই বলছে সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট। আমেরিকার বিদেশ দফতরের একটি মেমো উদ্ধৃত করে এই কথা জানিয়েছে তারা। চলতি মাসের শুরুতে ১২টি দেশের নাগরিকের আমেরিকায় প্রবেশের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। আংশিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে আরও সাত দেশের উপর। এ বার সেই তালিকা দীর্ঘ হতে পারে। যদিও এই নিয়ে হোয়াইট হাউস কোনও মন্তব্য করেনি বলে জানিয়েছে দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট।

নতুন যে দেশগুলির নাগরিকের আমেরিকায় আসার বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা চাপাতে পারে ট্রাম্প প্রশাসন, তার মধ্যে ২৫টি আফ্রিকা মহাদেশের। আমেরিকার সঙ্গী বলে পরিচিত মিশর, জিবুতিও রয়েছে তালিকায়। মধ্য এশিয়া, প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের কয়েকটি দ্বীপরাষ্ট্রের উপরেও এই নিষেধাজ্ঞা চাপতে চলেছে। এই দেশগুলি আদতে গরিব রাষ্ট্র। অভিযোগ, সেখান থেকে প্রায়ই নাগরিকেরা আমেরিকায় প্রবেশ করে অবৈধ ভাবে সেখানে থেকে যান। দ্য ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদন বলছে, ওই মেমোয় সই রয়েছে আমেরিকার বিদেশ দফতরের সচিব মার্কো রুবিয়োর। যে দেশগুলির উপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা চাপাতে চলেছে আমেরিকা, সেখানকার রাষ্ট্রদূতের কাছে শনিবার মেমোটি পাঠানো হয়েছে বলেও খবর। তালিকায় থাকায় দেশগুলিকে ৬০ দিন সময় দিয়েছে আমেরিকা। তার মধ্যে তাদের জানাতে হবে যে, আমেরিকার দেওয়া ‘মানদণ্ড এবং শর্ত’ তারা গ্রহণ করবে কি না। আগামী বুধবার সকালের মধ্যে জানাতে হবে, এই বিষয়ে প্রাথমিক ভাবে তারা কী পদক্ষেপ করতে চলেছে।

আমেরিকার প্রশাসন সূত্রে খবর, সে দেশে প্রবেশের জন্য বেশ কিছু ‘মানদণ্ড’ স্থির করা হয়েছে। যাদের উপর নিষেধাজ্ঞা চাপানোর কথা ভাবা হচ্ছে, তাদের অনেকেই সেই ‘মানদণ্ড’ মানতে ব্যর্থ। এই দেশগুলির মধ্যে বেশ কয়েকটিতে নাগরিকদের বৈধ পরিচয়পত্র দেওয়ার মতো কোনও কেন্দ্রীয় সরকারই নেই। কিছু দেশে আবার পরিচয়পত্র দেওয়া নিয়ে জালিয়াতি হয়, বলছে ট্রাম্প প্রশাসনের একটি সূত্র। আরও অভিযোগ, ওই দেশগুলির কিছু নাগরিক আমেরিকায় বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করে নাগরিকত্ব কেনেন। তার পরে অপরাধে জড়িয়ে পড়েন। ওই ৩৬টি দেশ ট্রাম্প প্রশাসনের এই সব ‘শর্ত’ যদি না মানে, তবে তাদের উপর কবে থেকে নিষেধাজ্ঞা চাপানো হবে, তা স্পষ্ট নয়।

মেমোয় যে দেশগুলির নাম রয়েছে, সেগুলি হল— অ্যাঙ্গোলা, অ্যান্টিগুয়া, বারবুদা, বেনিন, ভুটান, বুরকিনা ফাসো, কাবো ভার্দ, কম্বোডিয়া, ক্যামেরুন, ডেমোক্র্যাটিক রিপাবলিক অফ কঙ্গো, জিবুতি, ডোমিনিকা, ইথিওপিয়া, মিশর, গাবন, গাম্বিয়া, ঘানা, আইভরি কোস্ট, কিরঘিজস্তান, লাইবেরিয়া, মালাওয়ি, মরিশানিয়া, নাইজ়ার, নাইজেরিয়া, সেন্ট কিটস, নেভিস, সেন্ট লুসিয়া, সাও টম এবং প্রিন্সিপ, সেনেগাল, সাউথ সুদান, সিরিয়া, তানজ়ানিয়া, টোঙ্গা, টুভালু, উগান্ডা, ভানুয়াতু, জ়াম্বিয়া, জ়িম্বাবোয়ে।

এর আগে দেশকে ‘সুরক্ষিত রাখতে’ ১২টি দেশের নাগরিকদের আমেরিকায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেন ট্রাম্প। আফগানিস্তান, ইরান, মায়ানমার, চাদ, কঙ্গো, ইকুয়েটরিয়াল গিনি, ইরিত্রিয়া, হেটি, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান ও ইয়েমেনের নাগরিকদের উপরে এই নিষেধাজ্ঞা চাপানো হয়েছে। এ ছাড়াও আংশিক নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে আরও সাতটি দেশের নাগরিকদের উপরে। সেগুলি হল— ভেনেজ়ুয়েলা, বুরুন্ডি, কিউবা, লাওস, সিয়েরা লিয়ন, টোগো এবং তুর্কমেনিস্তান। প্রসঙ্গত, প্রথম দফায় প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন ইরান ও আফগানিস্তান-সহ বেশ কয়েকটি দেশের নাগরিকদের আমেরিকায় প্রবেশ নিষিদ্ধ করেছিলেন ট্রাম্প।

Donald Trump Travel Ban
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy