ক্ষমতায় আসার পরে এই প্রথম আদালতের তিরস্কার শুনলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আমেরিকার প্রেসিডেন্ট পদে বসেই একগুচ্ছ সরকারি নির্দেশিকায় সই করেছেন ট্রাম্প। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, এ বার থেকে আমেরিকায় কাউকে জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব দেওয়া হবে না। অর্থাৎ মা-বাবা আমেরিকার নাগরিক না হলে তাঁদের সন্তান শুধুমাত্র এ দেশে জন্মেছে বলেই নাগরিকত্ব পাবে না। এই সংক্রান্ত একটি মামলার রায়দান পর্বে আমেরিকান বিচারক (ডিস্ট্রিক্ট জাজ) ডেবরা বোর্ডম্যান জানালেন, এই নির্দিষ্ট সরকারি নির্দেশিকাটি বহু মানুষের ক্ষতি করবে। আপাতত ট্রাম্পের জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব সংক্রান্ত নির্দেশিকার উপরে স্থগিতাদেশ জারি করেছেন তিনি। দেশের সর্বত্র এই স্থগিতাদেশ বহাল হবে।
ট্রাম্প তাঁর দ্বিতীয় দফার প্রেসিডেন্ট জমানা শুরুর প্রথম দিনেই যে নির্দেশিকাটিতে সই
করেছিলেন, তাঁর শিরোনাম এ রকম: ‘আমেরিকার নাগরিক হওয়ার অর্থ ও গুরুত্ব রক্ষা’। নতুন নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, ২০২৫ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারির পরে জন্মানো শিশু আমেরিকায় জন্মসূত্রে নাগরিকত্ব পাবে না। তার বাবা-মা বেআইনি অভিবাসী হলেও পাবে না, নন-ইমিগ্র্যান্ট ভিসা যেমন এইচ-১বি বা এল ভিসাতে থাকলেও পাবে না। অর্থাৎ, বিষয়টা এ রকম, আমেরিকার নাগরিকত্ব পেতে হলে মা-বাবার এক জনকে আমেরিকান নাগরিক বা গ্রিন কার্ড হোল্ডার হতে হবে।
ট্রাম্পের এই নির্দেশিকা জারির পরে মেরিল্যান্ডের ডিস্ট্রিক্ট কোর্টে মামলা দায়ের করেছিলেন পাঁচ অন্তঃসত্ত্বা মহিলা। এঁদের কাছে সরকারের দাবিদাওয়া মতো কাগজপত্র নেই। দু’টি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও মামলা করেছে। বিচারক বোর্ডম্যান বলেন, সরকারি নির্দেশিকাটি সংবিধান-বিরোধী। সুপ্রিম কোর্ট এত দিন নাগরিকত্বের অধিকার নিয়ে যা বলে এসেছে, তার সঙ্গেও দ্বন্দ্ব রয়েছে। এ রকম সরকারি নির্দেশিকায় বহু পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)