বুধবারই আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান আসিম মুনির। সংবাদ সংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, এ বিষয়ে হোয়াইট হাউস থেকে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতেই জানানো হয়েছে, বুধবার স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় হোয়াইট হাউসের ক্যাবিনেট রুমে মধ্যাহ্নভোজের আয়োজন করা হয়েছে মুনিরের জন্য।
পাক সংবাদমাধ্যম আগেই জানিয়েছিল, পাঁচ দিনের সফরে আমেরিকায় গিয়েছেন মুনির। তার পর এ-ও শোনা গিয়েছিল, আমেরিকার সেনা দিবসে পাক সেনাপ্রধানকে আমন্ত্রণও জানানো হয়েছে। যদিও আমন্ত্রণের খবর পরে নস্যাৎ করে আমেরিকা। গত শনিবার আমেরিকার ২৫০তম সেনাদিবস অনুষ্ঠানে দেখাও যায়নি মুনিরকে। তবে এ বার বিজ্ঞপ্তি জারি করে ট্রাম্পের সঙ্গে মুনিরের বৈঠকের কথা জানিয়ে দিল হোয়াইট হাউস। দু’জনের মধ্যে কী নিয়ে আলোচনা হতে পারে, এখন তা নিয়েই জল্পনা।
আরও পড়ুন:
গত এপ্রিল মাসে জম্মু-কাশ্মীরে পহেলগাঁও কাণ্ড এবং তার পরে প্রত্যাঘাত হিসাবে ভারতের ‘অপারেশন সিঁদুর’ নিয়ে নয়াদিল্লি এবং ইসলামাবাদের মধ্যে টানাপড়েন তৈরি হয়েছিল। দিন দুয়েকের সংঘর্ষের পর অবশ্য দু’পক্ষ সংঘর্ষবিরতিতে রাজি হয়। ট্রাম্প দাবি করেছেন, তাঁর হস্তক্ষেপই সংঘর্ষবিরতি সম্ভব হয়েছে। যদিও ভারত প্রকাশ্যে কখনওই সে কথা স্বীকার করেনি। আবার ট্রাম্পের সেই দাবি উড়িয়েও দেয়নি তারা। তার মাসখানেক পরেই পাক সেনাপ্রধানের আমেরিকা সফর এবং ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকে স্বাভাবিক ভাবেই নজর থাকবে নয়াদিল্লির।
আবার ইরান-ইজ়রায়েল সংঘাতের আবহেও ট্রাম্পের সঙ্গে পাক সেনাপ্রধানের বৈঠককে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ ইতিমধ্যেই ইরানে হামলা চালানোর জন্য আমেরিকার মিত্র দেশ ইজ়রায়েলের সমালোচনা করেছে ইসলামাবাদ। তার উপর ইরানের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের এক সদস্য সম্প্রতি দাবি করেছেন, পাকিস্তান তাদের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে যে, ইজ়রায়েল ইরানের উপর পরমাণু বোমা ফেললে ইসলামাবাদও ইজ়রায়েলকে আক্রমণ করবে। অবশ্য এই বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ খোলেনি পাকিস্তান। স্বীকার বা অস্বীকার কিছুই করেনি তারা। কিন্তু ইরানের ওই আধিকারিকের মন্তব্যের সত্যাসত্য নিয়ে ধন্দ থাকলেও এটা স্পষ্ট যে, তেহরানের পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিয়েছে পাকিস্তান। তার প্রেক্ষিতেও মুনিরের সঙ্গে ট্রাম্পের বৈঠক নিয়ে অনেকের আগ্রহ থাকতেই পারে।