শারদোৎসবের আনন্দে শামিল হয়েছেন সাত সাগর তেরো নদী পারের সদূর মেক্সিকোর গুয়াদালাহারার প্রবাসীরাও। মেক্সিকোর রাজধানী মেক্সিকো সিটি থেকে ৫৫১ কিলোমিটার দূরে হালিস্কো প্রদেশের গুয়াদালহারা শহরে দুর্গাপুজো শুরু হয়েছিল ২০১২ সালে। সে সময়ে উদ্যোক্তাদের পুজোর জন্য সামান্য ধূপকাঠি যোগাড় করতে ছুটতে হয়েছিল ম্যাজিকের উপকরণ পাওয়া যায় এমন দোকানে। এখন সেই দুর্গাপুজোর জাঁকজমক বেড়েছে সকলের প্রচেষ্টায়। ২০১৬ সাল থেকে ভারতীয় তথ্য ও প্রযুক্তি সংস্থা তাদের প্রাঙ্গণটিকে পুজোর জন্য উন্মুক্ত করে দিচ্ছে।
বাঙালি তো বটেই, ভারতের অন্যান্য প্রদেশের মানুষ, এমনকি মেক্সিকান বন্ধুদেরও উপস্থিতিতে উৎসব-সৌহার্দ্যের আনন্দ এক মেলায় পরিণত হয়। ভারতীয় দূতাবাস ও মেক্সিকান সরকারের কর্মকর্তারা নিয়মিত উপস্থিত থেকে দু’দেশের সম্প্রীতির সম্পর্ক আরও দৃঢ় করেন।
এই বছর পুজোর সূচনা হয় খুঁটি পুজোর মাধ্যমে। আগামী ৫ই অক্টোবর ছুটির দিন হবে দুর্গাপুজো। মহিলা সদস্যরা পুজোয় পৌরহিত্য ও পরিচালনা করবেন। তিথি-নক্ষত্র দেখে পুজো করা সম্ভব হয় না। একটা রবিবার বা ছুটির দিন পুজোর জন্য ঠিক করা হয়ে থাকে, যাতে সবাই যোগদান করতে পারেন। উৎসবের আবহে পেটপুজোর ব্যবস্থা না থাকলেই নয়। বিভিন্ন খাবারের স্টলে ভিড় করেন অতিথি অভ্যাগতেরা। আর পুজোর ভোগে খিচুড়ি তো থাকবেই।
উদ্যোক্তাদের সৃজনশীলতায় নান্দনিক রূপ পায় উৎসব অঙ্গন। এ বছর পুজো উপলক্ষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের সূচনায় মেক্সিকান শিল্পীরা পরিবেশন করবেন ভারতীয় ধ্রুপদী নাচ। থাকছে সাবেক ধুনুচি নাচও। ছোটদের উপস্থাপনায় রামলীলা মঞ্চস্থ হবে। ভারতীয় রক ব্যন্ড শোনাবে গান। বর্ণাঢ্য আতসবাজি প্রদর্শনী উৎসবের অন্যতম আকর্ষণ।
গুয়াদালহারার মেক্সিকান শিল্পীর হাতেই এ বারের মা দুর্গার প্রতিমার নির্মাণ, যা ভারত ও মেক্সিকান সৃজনশীলতার মেলবন্ধনের বার্তাবহ। এক দিনের জন্য আসছেন আনন্দময়ী। তাঁর আগমনের অপেক্ষায় গুয়াদালাহারার প্রবাসীরা।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)