প্যালেস্টাইনের সশস্ত্র সংগঠন হামাসকে ‘শেষ সতর্কবার্তা’ দিল ইজ়রায়েল। সে দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইজ়রায়েল কাট্জ় হুঁশিয়ারির সুরে জানালেন, সোমবারই গাজ়া শহরের আকাশে শক্তিশালী হ্যারিকেন ঝড় আছড়ে পড়তে চলেছে। এর ফলে সব সন্ত্রাসবাদীর বা়ড়ির ছাদ উড়ে যাবে বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, গাজ়া ভূখণ্ডের হামাস ঘাঁটি লক্ষ্য করে আকাশপথে বড়সড় হামলা চালাতে চলেছে ইজ়রায়েলের সামরিক বাহিনী (আইডিএফ)। তাকেই ঝড়ের সঙ্গে তুলনা করে আগাম সতর্কবার্তা দিয়ে রাখলেন ইজ়রায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী।
প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র সংগঠনটিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে ইজ়রায়েলের বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সরকারের সদস্য কাট্জ় বলেন, “খুনি এবং ধর্ষক হামাসের জন্য এটাই শেষ সতর্কবার্তা। হামাসের যে নেতারা যারা গাজ়ায় রয়েছে, কিংবা বিদেশের বিলাসবহুল হোটেলে বসে রয়েছে, সতর্কবার্তা তাদের জন্যও।” একই সঙ্গে তাঁর সংযোজন, “বন্দিদের মুক্তি দিয়ে নিজেদের অস্ত্র নামিয়ে রাখো। না হলে গাজ়া ধ্বংস হয়ে যাবে আর তোমরা (হামাস) বিলুপ্ত হয়ে যাবে।”
গাজ়া ভূখণ্ডের সম্পূর্ণ দখল নেওয়ার জন্য গতক কয়েক দিন ধরেই সেখানে হামলার তীব্রতা বাড়িয়েছে ইজ়রায়েলি সেনা। বোমাবর্ষণে ধূলিসাৎ করে দেওয়া হচ্ছে একের পর এক বহুতল। শনিবারের হামলায় গাজ়া শহরে ৪১ জনের মৃত্যু হয়েছে। রেহাই পাচ্ছেন না ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নেওয়া সাধারণ প্যালেস্টাইনিরাও। অন্য দিকে, ইজ়রায়েলকে চাপ দিতে গত সপ্তাহে দুই ইজ়রায়েলি বন্দির ভিডিয়ো প্রকাশ করেছে হামাস। ভিডিয়োতে গাই গিবোলা-দালাল এবং আলোন ওহেল নামে দুই ব্যক্তিকে দেখা গিয়েছে। সাড়ে তিন মিনিটের ওই ভিডিয়োতে গিবোলা-দালালকে বিধ্বস্ত অবস্থায় তাঁদের দেশের সেনার উদ্দেশে বলতে শোনা গিয়েছে, যে গাজ়া শহরে হামলা চালানো হচ্ছে, সেখানেই কোনও এক জায়গায় তাঁর সঙ্গে আরও কয়েক জনকে বন্দি করে রাখা হয়েছে। হামাসের দাবি, এখনও তাদের হাতে ৪৮ জন ইজ়রায়েলি পণবন্দি রয়েছেন। যদিও ইজ়রায়েল প্রশাসন নিশ্চিত যে, তাঁদের মধ্যে আর ২০ জনই বেঁচে রয়েছেন।
সোমবার ইজ়রায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানান, হামাসকে শোচনীয় ভাবে পরাস্ত করার জন্য পরিকল্পনা করছে ইজ়রায়েলি সেনা। তবে সেই পরিকল্পনার বিষয়ে সবিস্তার কিছু জানাননি কাট্জ বা ইজ়রায়েল সরকারের অন্য কেউ। কেবল ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে যে, ইজ়রায়েলি বন্দিদের মুক্তি না-দেওয়া হলে সোমবার থেকেই গাজ়ায় জোরালো হামলা চালানো হবে।