—ফাইল চিত্র।
ইজ়রায়েলের নাগরিকদের দেশে প্রবেশ নিষিদ্ধ করতে চলেছে মলদ্বীপ। সম্প্রতি তাদের ক্যাবিনেট বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে খবর। মলদ্বীপ সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, তারা ইজ়রায়েলিদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করার জন্য দেশের আইনে প্রয়োজনীয় সংশোধন করবে। এই খবর প্রকাশ্যে আসার পর পাল্টা বার্তা এসেছে পশ্চিম এশিয়া থেকেও।
ইজ়রায়েল সরকার মলদ্বীপে থাকা তাদের নাগরিকদের অবিলম্বে ওই দেশ ত্যাগ করার পরামর্শ দিয়েছে। ভবিষ্যতে এ বিষয়ে কোনও সমস্যা দেখা দিলে, মলদ্বীপ থেকে ইজ়রায়েলিদের সরাতে সমস্যা হতে পারে। সে কথা ভেবেই নাগরিকদের উদ্দেশে এই বার্তা দিয়েছে জেরুসালেম। পশ্চিম এশিয়ায় যুদ্ধ পরিস্থিতির মাঝে মলদ্বীপের এই সিদ্ধান্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞেরা।
প্রায় আট মাস ধরে যুদ্ধ চলছে পশ্চিম এশিয়ায়। প্যালেস্টাইনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের বিরুদ্ধে গত অক্টোবরে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন ইজ়রায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। তার পর থেকে দুই তরফেই বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মারা গিয়েছেন হাজার হাজার মানুষ। গাজ়ায় নির্বিচারে মুহুর্মুহু গোলা বর্ষণ করেছে ইজ়রায়েল। যা এখনও থামেনি। গাজ়ায় ইজ়রায়েলের এই হামলার প্রতিবাদ করেছে অনেক দেশ। এমনকি, রাষ্ট্রপুঞ্জের তরফেও শান্তিস্থাপনের কথা বলা হয়। কিন্তু যুদ্ধ থামেনি। গাজ়ায় হামলার প্রতিবাদেই মলদ্বীপ ইজ়রায়েলি নাগরিকদের নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
মলদ্বীপের সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর ভারতের দক্ষিণ-পশ্চিমের এই দ্বীপরাষ্ট্রে পৃথিবীর নানা প্রান্ত থেকে ১০ লক্ষের বেশি বিদেশি পর্যটক আসেন। তাঁদের মধ্যে ইজ়রায়েল থেকে আসেন অন্তত ১৫ হাজার মানুষ। মলদ্বীপ সরকারের সিদ্ধান্তে তাই কিছুটা হলেও প্রভাব পড়বে পর্যটন শিল্পের উপর, মনে করছেন পর্যবেক্ষকেরা।
উল্লেখ্য, গত নভেম্বরে মলদ্বীপের শাসকের কুর্সিতে বসেছেন মহম্মদ মুইজ্জু। তিনি চিনপন্থী হিসাবে পরিচিত। সরকার গড়ার পর চিন থেকে ঘুরেও এসেছেন। ইজ়রায়েলের নাগরিকদের প্রতি মলদ্বীপের এই অবস্থানেও মুইজ্জুর সেই মানসিকতার প্রভাব থাকতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy