রবিবার দুপুর আড়াইটের সময় সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ঝড়ের বেগ ছিল ঘণ্টায় ১৪৭ কিমি। প্রতীকী ছবি।
প্রবল মারাত্মক ঘূর্ণিঝড় মোকার তাণ্ডবে বাংলাদেশে কমপক্ষে ১১ জন আহত হয়েছেন। ঝড়ের দাপটে ভেঙে পড়েছে বহু ঘরবাড়ি। বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যম ‘প্রথম আলো’ সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে। ঝড়ের পাশাপাশি ভারী বৃষ্টি হচ্ছে ও পার বাংলায়। সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ওই দ্বীপের মাঝরপাড়া, কোনারপাড়া, গলাচিপা, পশ্চিমপাড়া, দক্ষিণপাড়া, উত্তরপাড়া এলাকায় কমপক্ষে ৩৪০টি বাড়ি ভেঙে গিয়েছে। ভেঙে পড়েছে বহু গাছ। সমুদ্রের জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হয়ে গিয়েছে কয়েকটি গ্রাম। গাছ ভেঙে পড়ে জখম হয়েছেন প্রায় ১১ জন। তাঁদের মধ্যে এক মহিলার শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।
টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপেও ঝড়ের তাণ্ডবে ক্ষতি হয়েছে। সেখানেও বহু গাছ ভেঙে পড়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে আগেই সরানো হয়েছে। বিভিন্ন ত্রাণশিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন বহু মানুষ।
রবিবার দুপুরে বাংলাদেশ এবং মায়ানমার উপকূল দিয়ে অতিক্রম করেছে মারাত্মক প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোকা। বাংলাদেশের আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, রবিবার দুপুর আড়াইটের সময় সেন্ট মার্টিন দ্বীপে ঝড়ের বেগ ছিল ঘণ্টায় ১৪৭ কিমি।
ঝড়ের কারণে মহেশখালিতে ভাসমান ২টি টার্মিনাল থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস সরবরাহ ৩ দিন ধরে বন্ধ রাখা হয়েছে। যার ফলে সমস্যায় পড়েছেন বাসিন্দারা। বিভিন্ন এলাকায় বিদ্যুৎ বিভ্রাট হয়েছে বলে দাবি। আগামী ২ দিনের মধ্যে এই পরিস্থিতির উন্নতি হবে বলে জানিয়েছেন সে দেশের বিদ্যুৎ, জ্বালানি, খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নজরুল হামিদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy