রাষ্ট্রপুঞ্জের সাধারণ সভার অধিবেশনে বক্তৃতা দিতে সম্প্রতি আমেরিকা সফরে গিয়েছিলেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ। আমেরিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক সারতে নিউ ইয়র্ক থেকে ওয়াশিংটন ডিসি উড়েও গিয়েছিলেন পাক প্রধানমন্ত্রী। আর সেই সময়েই শরিফ এবং ট্রাম্পের একটি ছবি ঘিরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। ছবিটিতে দেখা যাচ্ছে, কাঠের শৌখিন একটি বাক্সে রাখা কয়েকটি খনিজ পদার্থ ডোনাল্ড ট্রাম্পকে দেখাচ্ছেন পাক সেনাপ্রধান আসিম মুনির। তাঁর পাশে হাসি মুখে দাঁড়িয়ে পাক প্রধানমন্ত্রী। সমাজমাধ্যম এবং সংবাদমাধ্যমে ভাইরালও হয়েছে সেই ছবি। সেটি প্রকাশ্যে আসতেই প্রতিবাদের ঝড় উঠেছে পাকিস্তানের বালুচিস্তান প্রদেশে।
বালুচিস্তানের বাসিন্দাদের একাংশের দাবি, যে খনিজ সম্পদগুলি পাক সেনাপ্রধান মুনির ট্রাম্পকে দেখিয়েছেন, সেগুলি আদতে বালুচিস্তান প্রদেশ থেকে উত্তোলন করা। একই দাবি স্বাধীন বালুচিস্তানের দাবিতে পথে নামা নেতা মির ইয়ার বালোচেরও। রবিবার আনন্দবাজার পত্রিকার তরফে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমেরিকার প্রেসিডেন্টকে দেখানো খনিজগুলি বালুচিস্তানের সম্পত্তি। সেগুলি কোনও অবস্থাতেই পঞ্জাব প্রদেশের নয়। মুনির এবং তাঁর হাতের পুতুল প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ় শরিফ বালোচদের অধিকারের জিনিস বন্দুক দেখিয়ে চুরি করে নিজেদের বলে দাবি করছেন।’’
খনিজ উত্তোলনের ক্ষেত্রে পাকিস্তানে সবচেয়ে বড় সংস্থা ‘ফ্রন্টিয়ার্স ওয়ার্ক অর্গ্যানাইজ়েশন’ চলতি সেপ্টেম্বর মাসেই আমেরিকার মিসৌরির ‘ইউএস স্ট্র্যাটেজিক মেটাল্স’ নামে একটি সংস্থার সঙ্গে মউ সাক্ষর করেছে। চুক্তি অনুযায়ী, খনিজ তোলার ক্ষেত্রে পাকিস্তানকে সাহায্য করবে মিসৌরির এই পেশাদার সংস্থাটি। মিরের মতে, আমেরিকা যদি এ ব্যাপারে সত্যিই আগ্রহী হয়ে থাকে, তা হলে ট্রাম্পের উচিত স্থানীয় বালোচ মানুষজনের মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া। মিরের কথায়, ‘‘বালোচদের খনিজ সম্পদ লুটে পাকিস্তানের সহযোগী না হয়ে, আমেরিকার উচিত এই ভূ-সম্পদের প্রকৃত মালিক যাঁরা, তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা।’’
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)