Advertisement
E-Paper

আরও বদলের ইঙ্গিত সৌদি আরবে, স্বীকৃতি পেয়ে গেল যোগ শিক্ষাও

জেড্ডার বাসিন্দা নউফ ১৯ বছর বয়স থেকেই যোগ ব্যায়াম শিখছেন। ২০১০ সালে তিনি সৌদির প্রথম যোগ ও আয়ুর্বেদ শিক্ষক হিসেবে শংসাপত্র লাভ করেন। নউফের দাবি, নিয়মিত যোগব্যায়ামের ফলে স্তন ক্যানসারের মতো অসুখের হাত থেকেও মুক্তি মিলেছে তাঁর।

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০১৭ ১৮:৫১
ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

বদলের ইঙ্গিত আগেই মিলেছিল। এ বার তা আরও স্পষ্ট হতে শুরু করল সৌদি আরবে। ভারতের মাটি ছাড়িয়ে সুদূর আরব দেশে পা রাখল যোগ শিক্ষা। দীর্ঘ দিন ধরেই সৌদি আরবে এর প্রচলন ছিল। তবে এত দিন তাতে সরকারি স্বীকৃতি মেলেনি। মঙ্গলবার সেই যোগ শিক্ষাকে স্পোর্টস হিসেবে মেনে নিয়েছে সৌদির শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রক। আর এই স্বীকৃতির পিছনে বড়সড় হাত রয়েছে বছর সাঁইত্রিশের নউফ মারওয়াইয়ের।

জেড্ডার বাসিন্দা নউফ ১৯ বছর বয়স থেকেই যোগ ব্যায়াম শিখছেন। ২০১০ সালে তিনি সৌদির প্রথম যোগ ও আয়ুর্বেদ শিক্ষক হিসেবে শংসাপত্র লাভ করেন। নউফের দাবি, নিয়মিত যোগব্যায়ামের ফলে স্তন ক্যানসারের মতো অসুখের হাত থেকেও মুক্তি মিলেছে তাঁর। তিনি বলেন, “লুপাস ও স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হলেও কোনও দিন কেমোথেরাপি করাইনি। যোগব্যায়াম আর ন্যাচারোপ্যাথিক জীবনযাপনের ফলেই আমি সুস্থ হয়ে উঠেছি।”

নউফের শুরুর পথটা কিন্তু খুব একটা সহজ ছিল না। দেশের নানা প্রান্তে খুঁজলেও হাতের কাছে কিশোরী নউফের কোনও যোগ শিক্ষক মেলেনি। ১৯ বছরের নউফ নিজে নিজেই যোগব্যায়াম শিখতে শুরু করেন। তিনি বলেন, “একটা সময় এক জন ভারতীয় শিক্ষকের কাছে বছরখানেক যোগব্যায়াম শিখেছি। খুব শীঘ্রই বুঝতে পারি, শরীর ও মনের জন্য যোগব্যায়ামের কত উপকারী।” সেখান থেকেই এক নতুন যাত্রা শুরু হয় নউফের। যোগব্যায়াম শিক্ষার জন্য অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে পৌঁছন তিনি। সেখানে ডিপ্লোমা লাভের পর পা রাখেন ভারতের মাটিতে।

আরও পড়ুন

আস্ত একটা দেশের ‘মালিক’ এই ভারতীয়!

সেনার দখলে জিম্বাবোয়ে, মুগাবের অবস্থা নিয়ে ধোঁয়াশা গোটা বিশ্বেই

ধর্ষকদের হাত থেকে রেহাই নেই ১৮ মাসের শিশুরও

পাপ্পুকে দিয়ে বাজার করানো যাবে না, জানাল কমিশন

সৌদি আরবের মতো মুসলিম দেশে যোগ শিক্ষক হিসেবে টিকে থাকাটা সহজ ছিল না। এর জন্য বহু বার হুমকিও পেয়েছেন নউফ। তবে তাতেও দমে যাননি তিনি। তাঁর মতে, “যোগব্যায়মের সঙ্গে ইসলামের কোনও সংঘাত নেই। ৫ হাজার বছরেরও আগে যখন বৌদ্ধ যুগ শুরু হয়নি তখন থেকেই যোগব্যায়ামের প্রচলন ছিল। তা ছাড়া, এটি আসলে ধর্মের থেকেও বিজ্ঞান এবং জীবনযাপনের সঙ্গে বেশি মাত্রায় জড়িত।”

সৌদিতে এই বদলের ইঙ্গিত অবশ্য নতুন নয়। গত অক্টোবরেই দেশের যুবরাজ মহম্মদ বিন সলমন দেশ থেকে কট্টরপন্থী ইসলামকে নির্মূল করে মধ্যপন্থা অবলম্বনের কথা জানিয়েছিলেন। অর্থনেতিক বিনিয়োগের পাশাপাশির সামাজিক ক্ষেত্রেও বদল আনতে চেয়েছেন। দেশের মহিলাদের আরও স্বাধীন ভাবে বাঁচার স্বপ্নও দেখাতে চান তিনি। সোদি আরবের মতো রক্ষণশীল দেশের মহিলারা যেখানে হিজাবের আড়ালে থাকবেন না। বরং পুরুষের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলবেন।

Saudi Arabia Yoga Islam
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy