Advertisement
E-Paper

ট্রাম্প সরকারের বরাদ্দে ‘বিচ্যুতি’! ১ অক্টোবর থেকে ঝাঁপ বন্ধ মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসার

সম্প্রতি বাজেট পেশ করা নিয়ে গোলমালের কারণে আমেরিকায় সরকারি কর্মীদের মাইনের দিন পিছিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। বহু কর্মীকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে বলেও অভিযোগ। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন নাসার কর্মীরাও।

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০২৫ ২২:১৪
নাসার ওয়েবসাইটে এই বিজ্ঞপ্তিই রয়েছে।

নাসার ওয়েবসাইটে এই বিজ্ঞপ্তিই রয়েছে। — ফাইল চিত্র।

আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসার ‘ঝাঁপ বন্ধ’ হয়েছে ১ অক্টোবর থেকে। তাদের সরকারি ওয়েবসাইটে একটি বিজ্ঞপ্তি দেয় ওই সংস্থা। সেখানে জানানো হয়েছে, সরকারি অনুদানে ‘বিচ্যুতি’-র কারণে এখন বন্ধ নাসা। অতিরিক্ত তথ্য পেতে গেলে সেখানকার কর্মীরা কোন ওয়েবসাইটে নজর দেবেন, তা-ও জানায় মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র। মহাকাশ গবেষণাকারীদের একাংশ মনে করছেন, এর ফলে গবেষণা ধাক্কা খাবে।

সম্প্রতি বাজেট পেশ করা নিয়ে গোলমালের কারণে আমেরিকায় সরকারি কর্মীদের মাইনের দিন পিছিয়ে গিয়েছে বলে অভিযোগ। বহু কর্মীকে ছুটিতে পাঠানো হয়েছে বলেও অভিযোগ। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন নাসার কর্মীরাও। এ বার নাসার উপরে নেমে এসেছে খাঁড়া। নাসার অর্থসাহায্যে আমেরিকায় অনেক গবেষণা চলে। সেগুলি বন্ধ হয়ে গিয়েছে। তবে সব কাজ থেমে যায়নি। আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস)-এ থাকা মহাকাশচারীদের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে কাজ করা, বিভিন্ন গ্রহে পাঠানো উপগ্রহের কার্যকলাপে নজর রাখা, আসন্ন প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের দিকে নজর রাখছেন নাসার সীমিত সংখ্যক কর্মী।

মাস কয়েক আগেই নাসার জন্য অর্থবরাদ্দ কমানোর কথা ঘোষণা করা হয়েছিল ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে। নির্দেশিকাটি জারি হয় অগস্ট মাসের শেষে। তাতে বলা হয়েছে, খাতায়কলমে জাতীয় গোয়েন্দা নিরাপত্তা সংস্থা হিসেবে কাজ করবে নাসা। তাদের প্রাথমিক কাজের মধ্যে পড়বে, ‘গুপ্তচরবৃত্তি’, ‘পাল্টা-গুপ্তচরবৃত্তি’, ‘তদন্ত’, ‘জাতীয় নিরাপত্তা’। নির্দেশিকাটিতে আরও জানানো হয়, ‘ফেডেরাল সার্ভিস লেবার-ম্যানেজমেন্ট রিলেশনস স্ট্যাটুট’ থেকে নাসাকে বাদ দেওয়া হচ্ছে। কর্মী সংগঠন গড়ার অধিকার কেড়ে নেওয়া হয় তাঁদের।

ট্রাম্প দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসে ব্যয়সঙ্কোচের পথে হেঁটেছেন। বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের বরাদ্দ কমিয়েছেন। তাঁর রোষে পড়েছে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে জানিয়েছিলেন, সরকারের দেওয়া শর্তাবলি না-মানলে বিশ্ববিদ্যালয়কে গবেষণার জন্য সকল সরকারি সহায়তা বন্ধ করে দেওয়া হবে। গত মার্চে আমেরিকায় বন্ধ হয়ে যায় শিক্ষা দফতর। এই নির্দেশ কার্যকর হওয়ার ফলে শিক্ষা খাতে ব্যয় বরাদ্দ বন্ধ করে আমেরিকার কেন্দ্রীয় প্রশাসন। পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে শিক্ষা সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ভার ফের তুলে দেওয়া হয় আমেরিকার প্রদেশগুলির উপরে। স্থানীয় প্রশাসনই আমেরিকার শিক্ষা সংক্রান্ত বিষয়গুলি নিয়ে মাথা ঘামাবে বলে জানানো হয়। শিক্ষাবিদদের একাংশ মনে করছেন, এর প্রভাব পড়বে সে দেশের গবেষণার কাজে। এই আবহে আমেরিকা ছেড়ে সুইৎজ়ারল্যান্ড চলে যাচ্ছেন নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ বিনায়ক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং এস্থার ডাফলো।

NASA Donald Trump
Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy