নেদারল্যান্ড সরকার জানিয়েছে, চিকিৎসা এবং খাদ্যশিল্পের কাজে আগের মতোই ব্যবহার করা যাবে লাফিং গ্যাস। ছবি সংগৃহীত।
নাইট্রাস অক্সাইড, চলতি কথায় যাকে বলে লাফিং গ্যাস, নিষিদ্ধ হচ্ছে নেদারল্যান্ডসে। তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই গ্যাস ব্যবহার করে নেশার প্রবণতা বাড়ছে। এর ফলে ক্ষতি হচ্ছে শরীরের। এই কারণেই লাফিং গ্যাস নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নেদারল্যান্ডস সরকার। জানুয়ারি থেকে সে দেশে লাফিং গ্যাস কেনবেচা, সংগ্রহে রাখা নিষিদ্ধ।
যদিও নেদারল্যান্ডস সরকার জানিয়েছে, চিকিৎসা এবং খাদ্যশিল্পের কাজে আগের মতোই ব্যবহার করা যাবে লাফিং গ্যাস। তাদের আশা, এই গ্যাস নিষিদ্ধ হলে পথ দুর্ঘটনার সংখ্যা অনেকটাই কমবে। জানা গিয়েছে, লাফিং গ্যাসকে মাদক হিসাবে ব্যবহার করে তরুণ প্রজন্ম গাড়ি চালান বা রাস্তা পারাপার করেন। তার ফলে দুর্ঘটনা বাড়ছে।
নেদারল্যান্ডসের পথ সুরক্ষা পর্যবেক্ষক দল জানিয়েছে, গত তিন বছরে ১,৮০০ দুর্ঘটনার নেপথ্যে রয়েছে এই লাফিং গ্যাস। ওই দলের এক সদস্য জানিয়েছেন, সারা দেশে দিনে প্রায় দু’টি করে দুর্ঘটনা হয়েছে এই গ্যাসের কারণে।
পরিসংখ্যান বলছে, গত কয়েক বছরে নেদারল্যান্ডসে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে এই গ্যাস ব্যবহারের প্রবণতা বেড়েছে। কেটামিন বা এমডিএমএ মাদকের সঙ্গে মিশিয়ে এই লাফিং গ্যাস সেবন করেন তাঁরা। যাঁরা পার্টিতে যান, তাঁদের মধ্যে ৩৭ শতাংশ এই গ্যাস সেবন করে নেশা করেন। কীভাবে? একটি ক্যানে ভরা থাকে গ্যাস। তা দিয়ে ফোলানো হয় একটি বেলুন। এর পর ওই বেলুন মুখে নিয়ে সেই গ্যাস সেবন করেন তরুণরা। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই গ্যাস প্রভাব ফেলে মস্তিষ্কে। স্থায়ী ভাবে স্নায়ুর ক্ষতি করে। এমনকি, এই গ্যাস বেশি সেবন করলে পক্ষাঘাতও হতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy