আমাজ়নের জঙ্গল থেকে চার শিশুকে উদ্ধার করে কলম্বিয়ার সেনা। —ফাইল চিত্র।
ইঞ্জিন বিকল হয়ে আমাজ়নের গভীর জঙ্গলে ভেঙে পড়েছিল বিমান। বিমানটি ভেঙে পড়ার ৪০ দিন পরে অভাবনীয় ভাবে খুঁজে পাওয়া যায় ওই বিমানে থাকা ৪ শিশুকে। কলম্বিয়ার অন্তর্ভুক্ত ওই জঙ্গল থেকে ৪ জনকে উদ্ধার করে নিয়ে আসে সেনা। এ বার ওই শিশুদের মধ্যে ১ জন দাবি করল, বিমান দুর্ঘটনার পরেও ৪ দিন বেঁচেছিলেন তাদের মা। যাতে ৪ শিশু দ্রুত জঙ্গল ছেড়ে পালিয়ে যেতে পারে, তার জন্য পরামর্শও দিয়েছিলেন তিনি।
কলম্বিয়ার রাজধানী বোগোটার একটি সেনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ওই ৪ শিশু। শিশুগুলির মধ্যে সব চেয়ে বড় যে, তার বয়স ১৩। সে হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই তার বাবা ম্যানুয়েল রনককে মায়ের বেঁচে থাকার বিষয়টি জানিয়েছে। সে আরও জানিয়েছে, গভীর জঙ্গলে বাকি ৩ ভাইবোনকে রক্ষা করতে একটি গাছের কোটরে আশ্রয় নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সে।
ইঞ্জিন বিকল হওয়ার জেরে গত ১ মে আমাজ়নের জঙ্গলে ভেঙে পড়েছিল ছোট যাত্রীবাহী বিমান ‘সেসনা ২০৬’। ওই বিমানে ৪ শিশু-সহ মোট ৬ জন যাত্রী ছিলেন। তা ছাড়াও ২ পাইলট ছিলেন এক ইঞ্জিনের ওই বিমানে। বিমানটি জঙ্গলে ভেঙে পড়ার পর ৪ জনের দেহ উদ্ধার করে কলম্বিয়ার সেনা। কিন্তু উইটোটো জনজাতি সমাজের অন্তর্ভুক্ত ওই ৪ শিশুকে পাওয়া যায়নি। তাদের সন্ধানে তল্লাশি চলছিল জঙ্গলে। শুক্রবার নিজেই টুইট করে তাদের খুঁজে পাওয়ার খবর জানান কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেট্রো।
কলম্বিয়ায় আদিম জনজাতি সমাজকে নিয়ে কাজ করে ‘ন্যাশনাল ইনডিজেনাস অর্গানাইজেশন অফ কলম্বিয়া’ নামে একটি সংস্থা। ওই সংস্থার ১ সদস্য লুইস অ্যাকোস্টা সংবাদ সংস্থা এএফপি-কে বলেছেন, “ওরা আদিম জনজাতি সমাজে বড় হয়েছে। ওরা জঙ্গলকে খুব ভাল করে চেনে। ওরা এটাও জানে যে, জঙ্গলে কোনটা খেতে হয়, আর কোনটা খেতে নেই।” এর পাশাপাশি গভীর জঙ্গলে তাদের এত দিন ধরে বেঁচে থাকার কারণ হিসাবে ‘আধ্যাত্মিক শক্তি’র ভূমিকার কথাও উল্লেখ করেন অ্যাকোস্টা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy