মারিয়ুপোলকে স্বাধীন ঘোষণা করেছেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেন এ নিয়ে কোনও মন্তব্য না করলেও তারা জানে, রাশিয়ার হাতে দেশের দক্ষিণের বন্দর-শহর ‘পরাধীন’। মারিয়ুপোলের সব বাসিন্দাকে অবিলম্বে শহর ছেড়ে বেরিয়ে যাওয়ার আবেদন জানিয়েছেন মেয়র বাদিম বয়চেঙ্কো। জাতীয় টিভি চ্যানেলে তিনি বলেন, ‘‘একটাই চাওয়া এখন— সবাইকে উদ্ধার করতে হবে। এখনও অন্তত ১ লক্ষ মানুষ আটকে রয়েছে মারিয়ুপোলে।’’
উদ্ধারকাজে সবচেয়ে ব্যাঘাত ঘটাচ্ছে যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাব। বিদ্যুৎ সংযোগ নেই দীর্ঘদিন। মোবাইল অকেজো। টিভি নেই। ইন্টারনেট নেই। বাইরের পৃথিবী সম্পর্কে অন্ধকারে মারিয়ুপোলবাসী। তাঁদের ধারণা গোটা ইউক্রেনের পরিস্থিতিই এ রকম। শহরের একাধিক জায়গায় উদ্ধারকারী বাস পাঠাচ্ছে প্রশাসন। কিন্তু ভয়ে কেউ উঠছে না। কাল তিনটি স্কুলবাসে মাত্র ৭৯ জনকে উদ্ধার করা গিয়েছে। মেয়র বয়চেঙ্কো জানিয়েছেন, তিনি মারিয়ুপোলে নেই। শহরের বাইরে থাকলেও বাসিন্দাদের উদ্ধার করতে বদ্ধপরিকর তিনি। কিন্তু এ-ও জানান, সব কিছুই এখন পুতিনের হাতে।
রাশিয়া আজ অবশ্য কিছুটা নরম মনোভাব দেখিয়েছে। গত কাল ক্রেমলিন জানিয়েছিল, আজ়ভস্টল কারখানায় ঢুকে অভিযান চালাবে না রুশ বাহিনী। কিন্তু কাউকে ভিতর থেকে বেরোতেও দেওয়া হবে না। যাতে একটি মাছিও গলতে না পারে, তা দেখার নির্দেশ দিয়েছিলেন খোদ রুশ প্রেসিডেন্ট। কিন্তু আজ তারা জানিয়েছে, যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কারখানা থেকে ইউক্রেনীয় সেনা ও বাসিন্দাদের বেরোনোর সুযোগ দেওয়া হবে। রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক ঘোষণা করেছে, ইস্পাত কারখানা থেকে নিরাপদ মানব করিডর তৈরির জন্য তারা প্রস্তুত। কিন্তু সেনা বাহিনীকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। মন্ত্রকের বিবৃতি: ‘‘আমরা আবারও বলছি, যুদ্ধ বন্ধ করতে প্রস্তুত রাশিয়া। আমরা চুপ করে যাব, মানুষকে উদ্ধারের রাস্তা করে দেব, কিন্তু তার জন্য ইউক্রেনের সেনা বাহিনীকে সাদা পতাকা তুলে ধরতে হবে।’’ এখনও পর্যন্ত রাশিয়ার এই প্রস্তাবের জবাব দেয়নি ইউক্রেন।