লাগাতার ধরপাকড়, হাতকড়া পরিয়ে দেশ থেকে বার করে দেওয়া, সীমান্তে কড়া পাহারা— ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসন নীতির ধাক্কায় আমেরিকার অভিবাসীদের সংখ্যা অনেকটা কমে গিয়েছে। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, ষাটের দশকের পরে এ রকম দেখা যায়নি। তাঁদের আশঙ্কা, এতে ব্যাপক ধাক্কা খাবে আমেরিকার অর্থনীতি। এরই মধ্যে আমেরিকান হাউসে একটি বিল পাশ হয়েছে। এখন সেনেটে ‘বিচারাধীন’। নতুন আইন হলে— মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালানোর মতো অপরাধে কোনও গ্রিনকার্ড হোল্ডার, কোনও বিদেশি পড়ুয়া কিংবা এইচ-১বি ভিসায় কর্মরত ব্যক্তিকে আমেরিকা থেকে বার করে দেওয়া হতে পারে। নতুন এই আইন নিয়ে চিন্তায় আমেরিকাবাসী ভারতীয়রাও।
আমেরিকার একটি গবেষণা সংস্থা ‘পিউ রিসার্চ সেন্টার’-এর প্রকাশিত রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ২০২৫ সালের জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে দেশের মোট অভিবাসী জনসংখ্যা কমপক্ষে ১৫ লক্ষ কমে গিয়েছে। এই মুহূর্তে আমেরিকার অভিবাসীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫ কোটি ১৯ লক্ষ। বছরের শুরুতে ট্রাম্পের প্রেসিডেন্ট পদে বসার আগে যা ছিল ৫ কোটি ৩৩ লক্ষ।
গবেষণা সংস্থাটির শীর্ষস্থানীয় কর্তা জেফ্রি প্যাসেল জানান, অভিবাসী-সংখ্যা এ ভাবে কমে যাওয়ায় লেবার-মার্কেটে ধাক্কা লেগেছে। সাড়ে ৭ লক্ষেরও বেশি শ্রমিক হারিয়েছে আমেরিকা। প্যাসেল বলেন, ‘‘এমনিতেই আমেরিকায় কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা বাড়ছে না। সে ক্ষেত্রে শ্রমিকের সংখ্যা বাড়াতে হলে নতুন অভিবাসী নিয়ে আসতেই হবে।’’
বিশেষজ্ঞেরা জানাচ্ছেন, ২০২৪-এ জো বাইডেনের জমানা থেকেই অভিবাসন-চিত্রে বদল দেখা গিয়েছিল। ট্রাম্প এসে তাতে প্রবল কড়াকড়ি শুরু করেন।
এই খবরটি পড়ার জন্য সাবস্ক্রাইব করুন
5,148
1,999
429
169
(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)