ফাইল চিত্র।
পশ্চিম যদি ইউক্রেনকে ক্ষেপণাস্ত্র সরবরাহ করা বন্ধ না করে, তা হলে নিশানা বদল করবে মস্কো— হুঙ্কার ছাড়লেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তাঁর কথায়, ‘‘সংঘর্ষ আরও বাড়াতেই এ ভাবে অস্ত্র পাঠানো হচ্ছে কিভে।’’
রুশ সংবাদ সংস্থাকে পুতিন বলেছেন, কিভকে যদি এ ভাবে একের পর এক দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র পাঠায় পশ্চিমি শক্তিরা, আমরা যথার্থ ভাবেই তা শেষ করব... আমরা আমাদের অস্ত্র ব্যবহার করব। এখনও যে সব জায়গায় হামলা করিনি, এ বারে সেখানে আঘাত হানব।’’ রুশ টেলিভিশনে দেখানো হয়েছে এই সাক্ষাৎকার। কোথায় হামলা করার কথা ভাবছেন, সে বিষয়ে খোলসা করেননি পুতিন।
সদ্যই আমেরিকা ঘোষণা করেছে, তারা হিমার মাল্টিপল রকেট লঞ্চ সিস্টেম পাঠাবে। ৮০ কিলোমিটার দূরের নিশানায় আঘাত করতে পারে এটি। এ ছাড়াও কোটি কোটি ডলারের অস্ত্রসাহায্য করছে আমেরিকা। এতে ক্ষুব্ধ রাশিয়া। যুদ্ধ-বিশারদদের ব্যাখ্যা, আমেরিকার হিমার রাশিয়ার হাতে থাকা সিস্টেমের থেকে সামান্য বেশি শক্তিশালী। এর অর্থ, এ বারে কিভের বাহিনীও ইউক্রেন থেকে রাশিয়ার সেনাঘাঁটিতে হামলা চালাতে পারবে। মস্কো কিছুই করতে পারবে না। আমেরিকান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন অবশ্য দাবি করেছেন, তাঁরা এমন কোনও অস্ত্র ইউক্রেনকে দেবেন না, যাতে রাশিয়ার জমিতে কোনও ক্ষয়ক্ষতি হয়। তবে যুদ্ধে কোনও পক্ষই কাউকে বিশ্বাস করে না।
পুতিন অবশ্য বলেছেন, ‘‘আমেরিকা এমন কোনও নতুন অস্ত্র দিচ্ছে না ইউক্রেনকে। সোভিয়েত যুগে তৈরি ওই ধরনের অস্ত্র ইউক্রেনের কাছে ছিল।’’ তা ছাড়া, মিসাইল লঞ্চার সিস্টেমের থেকে গুরুত্বপূর্ণ কোন ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হচ্ছে। রুশ প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘‘আমেরিকা যে সিস্টেমটি পাঠাচ্ছে, ওতে ৪৫-৭০ কিলোমিটার দূরত্বের ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করা হয়। ও সব কিছুই না। ওদের আসল উদ্দেশ্য, যুদ্ধ দীর্ঘায়িত করা।’’.
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy