বড়দিন, নববর্ষের উদ্যাপনে জমায়েত এড়ানোর পরামর্শ হু-র। ফাইল ছবি।
আসছে উৎসবের মরসুম। পাশাপাশি ঝড়ের গতিতে ছড়ানো অব্যাহত করোনার নয়া রূপ ওমিক্রনের। এখনও তার মারণ ক্ষমতা ডেল্টার তুলনায় বেশি না কম, তা জানা না গেলেও, ছড়িয়ে পড়ার ক্ষমতায় ইতিমধ্যেই ওমিক্রন পিছনে ফেলে দিয়েছে ডেল্টাকে। অন্তত এমনটাই দাবি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (হু)। এই প্রেক্ষিতে মানুষকে উৎসবের মরসুমে জমায়েত এড়ানোর পরামর্শ দিচ্ছে হু। সংস্থার ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস বলেন, ‘‘জীবনটাকেই বাতিল করে দেওয়ার চেয়ে জমায়েত বাতিল সব সময়ই ভাল।’’
এই মুহূর্তে আমেরিকা ওমিক্রনকে সে দেশে করোনার ‘কর্তৃত্বপূর্ণ ভাইরাসের রূপ’ হিসাবে অভিহিত করেছে। ঠিক তার পরেই হু প্রধানের এই মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ। তবে হোয়াইট হাউস সূত্রের খবর, প্রেসিডেন্ট বাইডেন এখনই আমেরিকায় লকডাউন করার কথা ভাবছেন না। কিন্তু সে দেশের শীর্ষ সংক্রামক ব্যাধি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক অ্যান্টনি ফাউচি আগেই বড়দিনের ঘোরাঘুরি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। আমেরিকার সিডিসি এবং স্টেট ডিপার্টমেন্ট আমেরিকার বাসিন্দাদের ৮টি এলাকায় বেড়াতে যেতে বারণ করে দিয়েছে। চতুর্থ স্তর অর্থাৎ খুব বেশি ঝুঁকিপূর্ণ তালিকায় রয়েছে, স্পেন, ফিনল্যান্ড, চাদ, লেবানন, বোনাইরে, মোনাকো, স্যান মারিনো এবং জিব্রাল্টার।
এ দিকে ফ্রান্স, জার্মানি ইতিমধ্যেই ওমিক্রনের প্রেক্ষিতে নতুন করে কঠোর করোনা বিধি ফিরিয়ে এনেছে। নেদারল্যান্ডস বড়দিনের সময় লক়ডাউন ঘোষণা করেছে। কড়া ব্যবস্থা আরোপের কথা ভাবছে ব্রিটেনও। ইতিমধ্যেই ট্রাফালগার স্কোয়ারে নববর্ষের অনুষ্ঠান বাতিল করে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন লন্ডনের মেয়র সাদিক খান।
সোমবার হু-এর ডিরেক্টর জেনারেল টেড্রোস অ্যাডানম গেব্রিয়েসাস বলেন, ‘‘এই অতিমারি দেখতে দেখতে আমরা সবাই ক্লান্ত। আমরা সবাই বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটাতে চাই। আমরা সবাই সাধারণ, স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে চাই।’’ এই প্রসঙ্গেই তাঁর সংযোজন, ‘‘এখন উৎসবের মরসুমে উদ্যাপন বাতিল রেখে আমরা বরং পরের জন্য রেখে দিই। জীবনটাকেই বাতিল করে দেওয়ার চেয়ে জমায়েত বাতিল সব সময়ই ভাল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy