E-Paper

মাথাপিছু আয় বাড়াতে হবে ৭.৩%! ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে উন্নত অর্থনীতির দেশ করার লক্ষ্য কেন্দ্রের

ষোড়শ অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান অরবিন্দ পানাগড়িয়ার মতে, তার জন্য আগামী ২৪ বছর দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার অন্তত ৭.৯% হতে হবে।

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০২৫ ০৭:১২
এখন ভারতের বার্ষিক মাথাপিছু আয় ২৫৭০ ডলার।

এখন ভারতের বার্ষিক মাথাপিছু আয় ২৫৭০ ডলার। —প্রতীকী চিত্র।

স্বাধীনতার ১০০ বছরে, অর্থাৎ, ২০৪৭ সালের মধ্যে ভারতকে উন্নত অর্থনীতি (বিকশিত ভারত) হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কেন্দ্র। ষোড়শ অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান অরবিন্দ পানাগড়িয়ার মতে, তার জন্য আগামী ২৪ বছর দেশের জিডিপি বৃদ্ধির হার অন্তত ৭.৯% হতে হবে। তবে তা অসম্ভব নয় বলেই মনে করছেন তিনি। যদিও বৃদ্ধির সাম্প্রতিক সরকারি পরিসংখ্যানগুলিই এই বিষয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।

আজ এক কর্মসূচিতে পানাগড়িয়া হিসাব দিয়ে বোঝান, এখন ভারতের বার্ষিক মাথাপিছু আয় ২৫৭০ ডলার। দেশকে উন্নত অর্থনীতি হয়ে উঠতে গেলে তা ১৪,০০০ ডলারে নিয়ে যেতে হবে। সে ক্ষেত্রে আগামী ২৪ বছরে মাথাপিছু আয় বাড়তে হবে ৭.৩% হারে। তার অর্থ, ২০৪৭-৪৮ অর্থবর্ষ পর্যন্ত ধারাবাহিক ভাবে জিডিপি বৃদ্ধির হার ধরে রাখতে হবে অন্তত ৭.৯% বা তার উপরে। পানাগড়িয়ার মতে, এই লক্ষ্যমাত্রা ছোঁয়া অসম্ভব নয়। গত ২১ বছরে দেশের গড় বৃদ্ধির হার ছিল ৭.৮%। তা ১০ বেসিস পয়েন্ট বাড়াতে হবে। তার জন্য প্রয়োজনীয় সংস্কার এনে শ্রমনিবিড় ক্ষেত্রের উন্নতি ঘটানো দরকার। তৈরি করতে হবে ভাল মানের কাজ। এখন যে প্রযুক্তি হাতে রয়েছে, তার সঙ্গে যোগ করতে হবে আরও পুঁজি এবং দক্ষতা। অর্থ কমিশনের চেয়ারম্যান জানান, রাষ্ট্রপুঞ্জের হিসাব অনুযায়ী, ২০৫০ সাল পর্যন্ত বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ০.৬% হবে ধরে নিয়ে তাঁর এই পূর্বাভাস।

এই প্রসঙ্গেই অনেকে মনে করিয়ে দিচ্ছেন, গত জুলাই-সেপ্টেম্বরের তুলনায় অক্টোবর-ডিসেম্বরে বৃদ্ধির গতি বাড়লেও, তা আটকে গিয়েছে ৬.২ শতাংশে। ৮% তো নয়ই, বার্ষিক ৭% বৃদ্ধির পূর্বাভাসও কোনও মূল্যায়ন সংস্থা দিচ্ছে না। আজ আন্তর্জাতিক অর্থ ভান্ডার (আইএমএফ) জানিয়েছে, ২০২৫-২৬ অর্থবর্ষে ভারতে সেই হার ৬.৫ শতাংশেই আটকে যাবে। চলতি অর্থবর্ষেও তা ৬.৩-৬.৪ শতাংশের মধ্যে থাকবে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে সরকারি-বেসরকারি সমস্ত সংস্থা। আইএমএফের বক্তব্য, কাঠামোগত সংস্কারের মাধ্যমে বেসরকারি লগ্নিকে উৎসাহিত করে কর্মসংস্থান বাড়ানোয় জোর দিতে হবে। সংবাদ সংস্থা

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

GDP Economy

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy