‘ইউনিফায়েড পেমেন্টস ইন্টারফেস’ বা ইউপিআই লেনদেনে নতুন বিধিনিষেধ জারি করল কেন্দ্র। ইতিমধ্যেই সেই সংক্রান্ত সার্কুলার দিয়েছে এর নিয়ন্ত্রণকারী সংস্থা ‘ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া’ (এনপিসিআই)। সেখানে সমস্ত ব্যাঙ্ক এবং পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডারদের ১০টি সর্বাধিক ব্যবহৃত ‘অ্যাপ্লিকেশন প্রোগ্রামিং ইন্টারফেস’কে (এপিআই) নিয়ন্ত্রণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে এই কাজ সেরে ফেলতে হবে তাদের। ফলে ১ অগস্ট থেকে লেনদেনের সময়ে বেশ কিছু সুবিধা আর পাবেন না ইউপিআইয়ের গ্রাহকেরা।
গত ২১ মে জারি করা এনপিসিআইয়ের সার্কুলার অনুযায়ী, ব্যাঙ্ক এবং পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডারদের (যেমন গুগ্ল পে বা ফোনপে) ব্যালেন্স অনুসন্ধান, স্বয়ংক্রিয় ভাবে অর্থ প্রদান (পড়ুন অটো পেমেন্ট) এবং লেনদেনের অবস্থা পরীক্ষা করার মতো গ্রাহকদের অনুরোধগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ফলে এর পর থেকে ইউপিআই ব্যবহারকারীরা দিনে নির্দিষ্ট সংখ্যক বার এই পরিষেবাগুলির সুবিধা পাবেন। এই নির্দেশ অমান্য করলে দু’তরফে শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে বলে সার্কুলারে উল্লেখ করেছে ওই কেন্দ্রীয় সংস্থা।
এ ছাড়া ৩১ অগস্টের মধ্যে পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডারদের একটি করে ‘মুচলেকা’ জমা দিতে বলেছে এনপিসিআই। সেখানে তাদের এপিআইগুলির সীমাবদ্ধতার খতিয়ান দিতে বলা হয়েছে। সার্কুলার অমান্য করলে ব্যাঙ্ক এবং পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডারদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে পারে এনপিসিআই। অন্য দিকে, গ্রাহকদের ইউপিআই পরিষেবা স্থগিত বা জরিমানা পর্যন্ত হতে পারে বলে সার্কুলারে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।
সার্কুলার অনুযায়ী, এপিআইগুলিকে দিনের ব্যস্ত সময়ে নিয়ন্ত্রণ করতে বলা হয়েছে। সেই সময়সীমা সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা এবং বিকেল ৫টা থেকে রাত সাড় ৯টা পর্যন্ত বলে ধার্য করা হয়েছে। ৩১ জুলাইয়ের পর ইউপিআইয়ের মাধ্যমে এই সময়সীমার মধ্যে গ্রাহকেরা অটো পেমেন্ট করতে পারবেন না। তবে দিনের অন্য সময়ে স্বয়ংক্রিয় লেনদেনের মাধ্যমে বিল জমা করা যাবে।
এ ছাড়া ইউপিআই ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স পরীক্ষার জন্য ৫০টি অ্যাপ সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। উদাহরণ হিসাবে যদি কেউ পেটিএম এবং ফোনপে দুটোই ব্যবহার করেন, তা হলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ৫০ বার অ্যাকাউন্ট ব্যালেন্স পরীক্ষা করতে পারবেন তিনি। পাশাপাশি, মোবাইল নম্বরের সঙ্গে যুক্ত তালিকার ২৫ জনকে দিনে পেমেন্ট করতে পারবেন তিনি।