প্রতীকী চিত্র।
দীর্ঘদিন বাদে রোগশয্যায় উঠে বসে নিজেকে খানিক ‘রিপ ভ্যান উইঙ্কল’-এর মতো লাগছিল তাঁর। তখন কলকাতায় সবে কোভিড ছড়াতে শুরু করেছিল। এ শহরের পরিচিত সমাজকর্মী হিসেবে কাজহারা মানুষের পাশে দাঁড়াতে যথারীতি ব্যস্ত হয়ে উঠেছিলেন তিনি। কেউ ভাবতেই পারেননি, মানুষকে সাহায্যের নানা কাজে শহরে টো টো করা ৫২ বছরের ওই হাসিখুশি মানুষটির দেহেই মারাত্মক ভাইরাস ঘাঁটি গেড়েছে।
গত ২৯ মার্চ ঢাকুরিয়ার বেসরকারি হাসপাতালে ধুম জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভর্তির সময়ে কার্যত সংজ্ঞাহীন ছিলেন তিনি। ছাড়া পেলেন শুক্রবার বিকেলে। সন্ধ্যায় ক্ষীণ কণ্ঠে ফোনে কলকাতার সাম্প্রতিক খবর নিচ্ছিলেন তিনি। বলেন, ‘‘আমি ফিরে এসেছি। প্রার্থনা করুন, যাতে কাজে ফিরতে পারি।” হাসপাতাল সূত্রের খবর, এক মাসেরও বেশি কৃত্রিম শ্বাসযন্ত্রে রেখে চিকিৎসা হয় তাঁর। নাগাড়ে ভেন্টিলেটরে রাখতে এপ্রিলের মাঝামাঝি গলায় ফুটো করে ট্র্যাকিয়োস্টমি করা হয়েছিল। এখনও দুর্বল তিনি। তাঁর পা সচল রাখতে ফিজিয়োথেরাপির সাহায্য লাগবে বলে হাসপাতাল জানিয়েছে।
সদাব্যস্ত মানুষটি যখন মারাত্মক ভাইরাসের সঙ্গে যুঝছেন, তখন মুদিয়ালির বাড়িতে রয়েছেন তাঁর স্ত্রী, অশক্ত বৃদ্ধা মা ও কাকিমা। তাঁর স্ত্রী বলেন, ‘‘ডাক্তার, স্থানীয় পুলিশ পাশে থাকায় জোর পেয়েছি।’’
আরও পড়ুন: কলকাতার অবস্থা উদ্বেগজনক, বহু এলাকা নিয়েই চিন্তায় পুরসভা
কোভিড-যুদ্ধে নামতে কোমর বাঁধছে মেডিক্যাল
ওই সমাজকর্মীর ফুসফুসে দুর্বলতা ছিল। তাই তাঁর কোভিড পরীক্ষার ফল আগে নেগেটিভ এলেও ছাড়ার ঝুঁকি নেননি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এত দিন ভেন্টিলেটরে থেকে রোগীর সুস্থ হওয়ায় আশার কথা বলছেন ডাক্তারেরাও।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy