বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি রাজ্যের প্রথম করোনা আক্রান্ত। —ফাইল চিত্র
আরোগ্যের পথে রাজ্যের প্রথম করোনা আক্রান্ত তরুণ। রবিবার সকালে নাইসেড থেকে তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ পাওয়া গিয়েছে। অর্থাৎ এই মুহুর্তে তাঁর দেহে করোনাভাইরাস নেই।
গত ১৫ মার্চ ইংল্যান্ড থেকে ফেরা ১৮ বছরের ওই তরুণকে করোনাভাইরাসের সমস্ত উপসর্গ-সহ বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ১৭ মার্চ। ওই দিন বিকেলেই তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষা করে পজিটিভ পাওয়া যায়। এর পরই বেলেঘাটা আই ডি হাসপাতালে তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়।
আইডি হাসপাতালের এক চিকিৎসক সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবারও তাঁর লালারসের নমুনা পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। সেই রিপোর্ট পজিটিভ এসেছিল। তবে সংক্রমণের মাত্রা অনেক কম পাওয়া গিয়েছিল গত দু’দিনের টেস্টে। সূত্রের খবর, শনিবার যে নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল তা নেগেটিভ পাওয়া গিয়েছে।
আক্রান্ত তরুণের বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, ‘‘হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদের জানিয়েছেন যে আমার ছেলে-সহ তিন জন আক্রান্তের রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে। ফের কাল একবার নমুনা পরীক্ষা করা হবে। সেই রিপোর্টও নেগেটিভ হলে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে। আমরা অধীর আগ্রহে সেই রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছি।”
আরও পড়ুন: এই প্রথম শিশুমৃত্যু করোনায়, চিন্তা বাড়ল চিকিৎসকদের
নিয়ম অনুযায়ী, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ফের একবার আক্রান্ত ব্যক্তির নমুনা পাঠাতে হবে। সেই রিপোর্টও নেগেটিভ হলে তবেই হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাবেন ওই তরুণ। ছাড়া পাওয়ার পরও নিয়ম অনুযায়ী ১৪ দিন কোয়রান্টিনে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে তাঁকে। ওই সময়ে যদি কোনও উপসর্গ না দেখা দেয় তবে তাঁকে পুরোপুরি ফিট ঘোষণা করা হবে।
সোমবার ওই তরুণের হাসপাতালে ১৪ দিন হবে। তার মধ্যেই তরুণের রিপোর্ট নেগেটিভ আসায় খুশি চিকিৎসকরা। তাঁদের একজন জানিয়েছেন, প্রথম দিনের পরীক্ষাতেও দেখা গিয়েছিল তরুণের দেহে সংক্রমণের মাত্রা কম। পাশাপাশি তাঁর বয়স কম হওয়ায় এবং অন্যন্য কোনও শারীরিক সমস্যা না থাকায় চিকিৎসায় দ্রুত সাড়া দিয়েছে তরুণের শরীর।
রাজ্যের এক আমলার পুত্র ওই তরুণ ইংল্যান্ডে একটি পার্টিতে যান। সেখানে তিনি যে বন্ধুদের সংস্পর্শে ছিলেন তাঁদের অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হন। তারপর ওই আমলা পুত্র বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে যান। তার আগে তিনি হোম আইসোলেশনে না থেকে সর্বত্র ঘুরে বেড়ান বলে অভিযোগ। ফলে তাঁকে নিয়ে রীতিমত বিতর্ক তৈরি হয় নবান্নের অন্দর মহলেও। ওই তরুণের সংস্পর্শে আসায় তাঁর বাবা-মা এবং এক ড্রাইভারেরও লালারসের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। তবে তাঁদের রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। তাঁরাও এখনও কোয়রান্টিনে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: এই প্রথম শিশুমৃত্যু করোনায়, চিন্তা বাড়ল চিকিৎসকদের
সূত্রের খবর, করোনা আক্রান্ত হাবরার তরুণী এবং বালিগঞ্জের ব্যবসায়ীর সাম্প্রতিক রিপোর্টও নেগেটিভ এসেছে। তবে বালিগঞ্জের ব্যবসায়ী পুত্রের রিপোর্ট এখনও নেগেটিভ নয়।
অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy