প্রতীকী ছবি।
হাওড়ায় ধীরে ধীরে কমছে করোনা সংক্রমণের হার। যে কারণে হাওড়া পুরসভা এলাকায় কন্টেনমেন্ট জ়োনের সংখ্যা বর্তমানে কমে হয়েছে পাঁচটি। গত ৩ সেপ্টেম্বর রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া তালিকায় ওই সংখ্যাটি ছিল ১২। বৃহস্পতিবার ঘোষিত কন্টেনমেন্ট জ়োনের তালিকা অনুযায়ী ১, ৬, ১৭, ২৯ ও ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের কয়েকটি রাস্তাকেই কন্টেনমেন্ট জ়োন হিসেবে ধরা হয়েছে। সংক্রমণ হ্রাসের প্রবণতাকে ধরে রাখতে শহরের গৃহহীনদের ভবঘুরে আবাসে পাঠাতে উদ্যোগী হাওড়া পুরসভা।
রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের দেওয়া তালিকা অনুযায়ী, গত ৩ তারিখ যে ১২টি এলাকাকে কন্টেনমেন্ট জ়োন বলে ঘোষণা করা হয়, তার মধ্যে ৩, ১১, ১২, ২৭ ও ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের তিনটি রাস্তাকে বর্তমানে বাদ দেওয়া হয়েছে। তবে এ দিন প্রকাশিত কন্টেনমেন্ট জ়োনের নয়া তালিকায় নতুন করে সংক্রমিত এলাকা হিসেবে এক নম্বর ওয়ার্ডকে রাখা হয়েছে।
জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘হাওড়া পুর এলাকায় কোভিডের সংক্রমণ অনেকটাই কমেছে। মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধিই এর প্রধান কারণ। এ ব্যাপারে যাতে কোনও ফাঁক না থাকে, তাই গৃহহীনদের ভবঘুরে আবাসে রাখার এই পরিকল্পনা। কারণ রাস্তায় যাঁরা ঘুরে বেড়াচ্ছেন, তাঁরা খুব সহজেই সংক্রমিত হতে পারেন। তাতে আরও অনেকের মধ্যে সংক্রমণ ছড়াতে পারে।’’
এ দিন হাওড়া পুরসভার এক পদস্থ কর্তা জানান, মধ্য হাওড়ার কইপুকুরে গৃহহীনদের জন্য একটি আবাসগৃহ তৈরি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই সেখানে ৫০ জনের বেশি গৃহহীন রয়েছেন। আরও কয়েক জনকে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, ‘‘সংক্রমণ যাতে গৃহহীনদের মধ্যে ছড়িয়ে না পড়ে, তা নিশ্চিত করতেই মার্চ থেকে শহরের বিভিন্ন কলেজে তাঁদের রাখার ব্যবস্থা করা হয়। কোভিড পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে তাঁদের চিহ্নিত করে ওই সমস্ত আবাসগৃহে পাঠানোর কাজ শুরু হয়েছে।’’ পুরসভার এক পদস্থ আধিকারিক জানান, তিনি বুধবার কইপুকুরের ওই আবাসগৃহ পরিদর্শন করেছেন। সেখানে আবাসিকদের থাকা ও খাওয়ার ভাল ব্যবস্থা হয়েছে। আবাসিক আরও বাড়লে যাতে কোনও অসুবিধা না হয়, তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy