খিদিরপুর পল্লি (বাঁ দিকে) ও সন্তোষমিত্র স্কোয়ারের প্রতিমা। —নিজস্ব চিত্র
কলকাতা হাইকোর্ট তখনও ‘নো এন্ট্রি জোন’-এর রায় দেয়নি। তার আগেই এই পুজোর স্লোগান ছিল ‘হেঁটে নয়, নেটে’। অর্থাৎ কোভিড অতিমারিতে পুজো প্যান্ডেলে নয়, ঘরে বসে পুজো দেখার বার্তা ছিল সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজোয়। সঙ্গে উদ্যোক্তারা স্পষ্ট ঘোষণা করে দিয়েছিলেন, প্যান্ডেলের ভিতরে কাউকে ঢুকতে দেবেন না তাঁরা। থিম, বদ্রীনাথের মন্দির। সে ‘মন্দির’-এ কোভিড প্রোটোকল মেনে দুর্গাবন্দনায় কোনও খামতি না থাকলেও দর্শক প্রায় শূন্য। প্রতি বছর যেখানে নবমীর রাতে জনসুনামির চেহারা নেয় এই লেবুতলা পার্ক বা সন্তোষ মিত্র স্কোয়ারের পুজো, এ বার সেখানে কার্যত জনশূন্য। কমিটির লোকজন আর রাস্তায় কিছু দর্শক ছাড়া কার্যত ফাঁকা এই এলাকা।
অন্য দিকে দক্ষিণ কলকাতার ‘খিদিরপুর পল্লি শারদীয়া’র পুজোর থিম ‘১৬-এ ধোপা কলোনি’। সমাজ জীবনে ধোপাদের অবদান এবং কোভিড পরিস্থিতিতে তাঁরা আরও কতটা অপরিহার্য হয়ে উঠেছেন, তাই ফুটিয়ে তুলেছেন এখানকার পুজো উদ্যোক্তারা। এ বছর ৮৯ বছরে পা দিল খিদিরপুর পল্লির পুজো।
হাইকোর্টের রায় মেনে এখানে প্যান্ডেলের ভিতরে দর্শক না থাকলেও বাইরে যথেষ্টই ভিড়। সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না বলে অনেকেই অভিযোগ তুলেছেন। মাস্ক ছাড়াও ঘুরতে দেখা যাচ্ছে অনেককেই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy