একবালপুরের এই বহুতলেই খুন করা হয়। ফাইল চিত্র।
একবালপুর হত্যা-কাণ্ডে মারা গেলেন নিহতের ছোট মেয়ে তাইবা খাতুন (১৭)। গত ২৫ সেপ্টেম্বর ঘরে ঢুকে মা ও দুই মেয়েকে কুপিয়ে থানায় গিয়ে আত্মসমর্পণ করে দেওয়ার সুলতান আনসারি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় আকিদা খাতুনের (৪৫)। গুরুতর আশঙ্কাজনক অবস্থায় মেয়ে তাঁর দুই শাগুফতা এবং তাইবা খাতুনকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার হাসপাতালে মারা যান তাইবা। দিদি শাগুফতা এখনও হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
২৫ সেপ্টেম্বর একবালপুরের সুধীর বসু রোডে শিলনোড়া দিয়ে ওই তিন জনকে গুরুতর আঘাত করা হয়। তার পর ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কোপায় অভিযুক্ত সুলতান আনসারি। কলকতা পুলিশের ডিসি বন্দর ওয়াকার রাজা বলেন, “একবালপুরের ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে তাইবার। তদন্ত চলছে।” ঘটনার পর অভিযুক্ত সুলতান থানায় গিয়ে বলে, সে তার পরিচিত তিন জনকে খুন করেছে। একবালপুর থানার পুলিশকর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখেন, ঘরের মধ্যে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন তিন মহিলা। দ্রুত তাঁদের এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু তার আগেই মৃত্যু হয় আকিদার।
পারিবারিক অশান্তির কারণে ওই ঘটনা ঘটেছে বলে মনে করছে স্থানীয়রা। সুলতান সম্পর্কে আকিদার দেওর হয়। সে আকিদার এক মেয়েকে বিয়ে করতে চেয়েছিল। কিন্তু তাতে নারাজ ছিলেন আকিদা ও তাঁর স্বামী হারুণ রশিদ। তা নিয়েই বিবাদের সূত্রপাত বলে তদন্তে জানতে পেরেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: কলকাতায় বসে ইংল্যান্ডে ব্যাঙ্ক জালিয়াতি, উদ্ধার ৭ কোটি, পাকড়াও পান্ডা
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy