ছবি পিটিআই।
মেট্রোয় ই-পাস চালু হওয়ার পরে বুধবার ছিল তৃতীয় দিন। আগের দু’দিনের তুলনায় যাত্রী-সংখ্যা এ দিন আরও কয়েক হাজার বেড়েছে। মঙ্গলবারের চেয়ে প্রায় ৮ হাজার বেশি যাত্রী এ দিন মেট্রোয় চড়েছেন। এ দিনের মোট যাত্রী-সংখ্যা ৩৫ হাজার। যাত্রী বেড়েছে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোতেও। অকারণ ই-পাস নেওয়ার সংখ্যাও কমেছে বলে মেট্রো সূত্রের খবর।
তবে সকালের ব্যস্ত সময়ে টালিগঞ্জ, কালীঘাট, মহাত্মা গাঁধী রোডের মতো কয়েকটি স্টেশন থেকে যাত্রীদের পাসের চাহিদা অস্বাভাবিক বেশি থাকছে বলে মেট্রো সূত্রের খবর। ওই সমস্ত স্টেশন থেকে বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার বাস এবং অটো পরিষেবা রয়েছে। তাই সকালের দিকে বাস এবং অটোয় চেপে এসে যাত্রীদের অনেকেই মেট্রো ধরতে চাইছেন। সে কথা মাথায় রেখেই পরিস্থিতি সামলাতে এই তিন স্টেশনের যাত্রীদের জন্য ই-পাস দেওয়ার সর্বোচ্চ সীমা আজ, বৃহস্পতিবার থেকে বাড়ানো হতে পারে।
পাস নেওয়ার পরে বাস্তবে কত সংখ্যক যাত্রী ওই সব স্টেশন থেকে মেট্রোয় উঠছেন বা নামছেন, তা খতিয়ে দেখেই এই ব্যাপারে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। রেক-পিছু ৪০০ জন যাত্রী ধরে এবং বিভিন্ন স্টেশনে তাঁদের ওঠানামা করার প্রবণতা বুঝে মেট্রো কর্তৃপক্ষ চাইছেন, করোনা আবহে এক লক্ষের কাছাকাছি যাত্রী পরিবহণের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে। সেই কারণে যাত্রীদের ই-পাস বুক করার সংখ্যা এবং বাস্তবে কত জন যাত্রী সফর করছেন, সেই সংখ্যার ফারাক খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
মেট্রো সূত্রের খবর, এই তিন স্টেশনের যাত্রীদের জন্য সপ্তাহের কাজের দিনে ২০ শতাংশ বেশি ই-পাস দেওয়া হতে পারে। অফিসের ব্যস্ত সময়ে অনেক যাত্রী চেয়েও ই-পাস না পাওয়ায় গণপরিবহণের উদ্দেশ্যই ব্যাহত হচ্ছে বলে যাত্রী সংগঠনগুলি ইতিমধ্যেই অভিযোগ তুলেছে। পাস নেওয়ার প্রক্রিয়া অনর্থক জটিল বলেও মনে করছেন কেউ কেউ। মেট্রোকর্তাদের একাংশের দাবি, সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা মাথায় রাখতে হচ্ছে। ফলে, করোনা আবহে মেট্রো পরিষেবা শুরু হওয়ার পরে মেপে পা ফেলাই বাঞ্ছনীয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy