আড়াল: আলিপুর থানায় হামলার সময়ে এ ভাবেই মাথায় ফাইল চাপা দিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করেছিলেন এক পুলিশকর্মী। ফাইল চিত্র
থানার ভিতরে চলছে বহিরাগতদের তাণ্ডব। বাইরে থেকে ছোড়া হচ্ছে ঢিল। ওই পরিস্থিতিতে আত্মরক্ষায় মাথায় ফাইল চাপা দিয়ে টেবিলের নীচে লুকিয়ে ছিলেন এক পুলিশকর্মী।
বছর কয়েক আগের এক দুপুরে আলিপুর থানায় দেখা গিয়েছিল সেই দৃশ্য। তার পরে কেটে গিয়েছে সাড়ে পাঁচ বছর। কিন্তু ওই ঘটনায় বিচার শুরু হওয়া তো দূর, চার্জ গঠনই হয়নি এখনও। মামলাটি রয়েছে আলিপুর সিজেএম আদালতের বিচারকের কাছে। ওই ঘটনার তিন মাসের মধ্যে তদন্তকারীরা ১৬ জন অভিযুক্তের নামে আদালতে চার্জশিটও পেশ করেছিলেন। নিয়ম অনুযায়ী, তার পরে সেটি মুখ্য বিচারকের ঘর থেকে অন্য এজলাসে আসার কথা। কিন্তু সেটাই এখনও হয়ে ওঠেনি বলে দাবি পুলিশের একাংশের।
অভিযুক্তদের আইনজীবী অরিন্দম দাস মঙ্গলবার জানান, তাঁর মক্কেলদের মধ্যে ন’জন চার্জশিটের কপি নিয়েছেন। কিন্তু বাকি সাত জন এখনও তা নেননি। তাঁর দাবি, আদালত থেকে বারবার সমন পাঠানো হচ্ছে অভিযুক্তদের কাছে। আশা করা যায়, দ্রুত ওই মামলার চার্জ গঠন করে বিচার প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে।
পাঁচ বছর আগের সেই ঘটনায় নাম জড়িয়ে গিয়েছিল রাজ্যের এক প্রভাবশালী মন্ত্রীর অনুগামী প্রতাপ সাহার। অভিযুক্তেরা সকলেই ছিলেন প্রতাপের অনুগামী। পুলিশ অবশ্য প্রতাপকে গ্রেফতার করা তো দূরের কথা, ওই ঘটনার চার্জশিটে প্রতাপের নামটা পর্যন্ত যুক্ত করেনি। এ বার টালিগঞ্জ থানায় পুলিশকে মারধরের ঘটনাতেও নাম জড়িয়েছে সেই প্রভাবশালী মন্ত্রীরই অনুগামীদের একাংশের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, এ বারও পুলিশ সেই অনুগামীদের নাম বাদ রেখেই মামলা রুজু করেছে। ফলে এ বারও আদৌ তদন্ত হবে কি না, বা হলেও বিচার শুরু হবে কি না, তা নিয়ে ধন্দে পুলিশের নিচুতলার একাংশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy