উদ্ধার হওয়া নগদ টাকা ও সোনা।— নিজস্ব চিত্র।
ভোটের মুখে কলকাতা এবং সল্টলেক থেকে বিপুল পরিমাণে চোরাই সোনা এবং হিসাব বহির্ভূত টাকা বাজেয়াপ্ত করল শুল্ক দফতর। কলকাতাকে করিডর করে এ দেশের বিভিন্ন রাজ্যে এই সোনা পাচারের ছক কষেছিল একটি চক্র। কিন্তু তার আগেই ডিরেক্টরেট অব রেভিনিউ ইন্টেলিজেন্স (ডিআরআই)-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছে ৬ জন। চলতি মাসের ২৫ থেকে ২৮ তারিখের মধ্যে ওই অভিযানে প্রায় সাড়ে ১৬ কেজি সোনা আটক হয়েছে। যার আনুমানিক বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে ৫ কোটি ৩৭ লক্ষ টাকা। একই সঙ্গে উদ্ধার হয়েছে ৭৫ লক্ষ নগদ টাকাও।
গত সোমবার একটি সূত্র মারফত খবর পেয়ে সদর স্ট্রিটের একটি হোটেলে আচমকাই হানা দেন শুল্ক অফিসারেরা। সেখান থেকে মহেশ রাই এবং রীতা মৈসেক নাম দু’জনকে আটক করা হয়। তাদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় প্রায় ৫ কেজি সোনা। জেরায় জানা যায়, ওই চোরাই সোনা তারা মায়ানমার থেকে মণিপুর হয়ে কলকাতায় এসে পৌঁছেছিল। উদ্ধার হওয়া চোরাই সোনার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১ কোটি ৬৫ লক্ষ টাকা।
ওই দু’জনকে জেরা করে মঙ্গলবার সল্টলেকের একটি হোটেল থেকে ওই দলেরই আরও এক জনকে গ্রেফতার করা হয়। তার কাছ থেকে পাওয়া যায় প্রায় ৩ কেজি সোনা। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১ কোটি টাকা। ধৃতকে জেরা করা জানা যায়, এই সোনা সে মায়ানমার থেকে মিজোরাম হয়ে কলকাতায় নিয়ে এসেছিল। বৃহস্পতিবার বড়বাজারে হানা দিয়ে উদ্ধার হয় হয় প্রায় সাড়ে ৮ কেজি সোনা। সেগুলি পাচারের আগেই আটক করা হয়। উদ্ধার হওয়া সোনার মূল্য ২ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা। বড়বাজার এলাকা থেকেই বাজেয়াপ্ত হয় নগদ ৭৫ লক্ষ টাকা। এই ঘটনায় রাজু দত্ত, চিরঞ্জিত দত্ত এবং সুমন সাহাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: #প্রধানমন্ত্রীহিসেবদাও: ভিডিয়ো ধারাবাহিক শুরু করে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তোলার চেষ্টায় তৃণমূল
দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯
ডিআরআই সূত্রে খবর, নেপাল, ভূটান, বাংলাদেশ, মায়নমারের পাশাপাশি চিনও ঢুকে পড়েছে ভারতের চোরাই সোনা লেনদেনের কারবারে। এই সব দেশ থেকে পাচারকারীদের হাত ধরে চোরাই সোনা পৌঁছে যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন রাজ্যে। পশ্চিমবঙ্গ, মায়ানমার, মিজোরাম, অসম-সহ উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলির এজেন্টদের সঙ্গে সীমান্তবর্তী দেশের পাচারকারীদের যোগাযোগ বেড়েছে। ২০১৮-১৯ আর্থিক বছরে অভিযান চালিয়ে শুধুমাত্র উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি থেকে প্রায় ৪৩১ কেজি সোনা বাজেয়াপ্ত হয়েছে। যার আনুমানিক মূল্য প্রায় ১৩৫ কোটি টাকা। ডিআরআই-এর এক আধিকারিক বলেন, ‘‘এই পাচার চক্রে আরও অনেকে রয়েছে। তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে।’’
(শহরের সেরা খবর, শহরের ব্রেকিং নিউজ জানতে এবং নিজেদের আপডেটেড রাখতে আমাদের কলকাতা বিভাগ পড়ুন।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy